নিউজ ডেস্ক: ঢাকার পোস্তগোলা শ্মশানে মাটিচাপা দেওয়া মৃত একটি শিশুকে তুলে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করার পর ৫ কিশোরকে ধরেছে পুলিশ ও জনতা।
গ্রেপ্তার ওই কিশোররা বলেছে, তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার আশায় এই কাণ্ড করেছে।
এই কিশোররা মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে দল বেঁধে এই বীভৎস কাণ্ড ঘটায় বলে শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নবজাতক সন্তান সোমবার মারা গেলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্যামপুর শ্মশান ঘাটে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল।
“এরপর রাত রাত ২টার দিকে ওই পাঁচ কিশোর শ্মশানে গিয়ে নবজাতকের মৃতদেহ তুলে ফেলে এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর ছিন্ন মাথাটি ঘিরে তারা আরাধনা শুরু করে।”
ওই সময় শ্মশানে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মচারীরা তা দেখে ওই কিশোরদের ঘিরে ফেলে থানায় খবর দেন। এলাকার মানুষও জড়ো হয়ে যায়।
এরপর পুলিশ গিয়ে ওই শিশুটিকে আবার সমাহিত করে। ওই পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি মিজান বলেন, “ওই কিশোররা বলেছে, তারা শুনেছে এ কাজ করলে তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হবে।”
এই কিশোরদের বসবাস ওই এলাকায়ই জানিয়ে তিনি বলেন, “এদের সবার বাবা ডোম।”
এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের কিশোর আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।