• সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 494
সিলেট এমসি কলেজের কর্মবীর কাপ্তান মিয়া আর নেই

নিউজ ডেস্কঃ পূণ্যভুমি সিলেটের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক উপমহাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মুরারি চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ)-এর বহুল পরিচিত মুখ (হেডক্লাক) বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ কাপ্তান মিয়া আর নেই।

রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সিলেট মহানগরীর চারাদিঘিরপাড়স্থ (আল আমিন-৫) নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রায় শতবছর বয়সী ওই শিক্ষাবিদ বার্ধক্যজনিত শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ১৯৪০ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পাস করার পর কাপ্তান মিয়া ক’বছর বৃটিশ আর্মিতে চাকরি করেন। ‘৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ এবং এ অঞ্চলে বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটলে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে মুরারি চাঁদ কলেজে যোগ দেন কাপ্তান মিয়া। ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের ওপর দখলের কারণে অল্প সময়েই তিনি এমসি কলেজ প্রশাসনে যশ-খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হন। ১৯৮৩ সালে অফিস প্রধান (হেডক্লার্ক) হিসাবে সফল কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরোত্তর ছুটি গ্রহণ করেন তিনি।

অবসর জীবনের পুরোটা সময় (মৃত্যু অবধি) সিলেটেই ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মহলাল সংলগ্ন ধনিউড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া মোহাম্মদ কাপ্তান। বাদ মাগরিব চারাদিঘিরপাড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা শেষে মানিকপীরেরটিলায় স্ত্রীর করবের পাশে তাকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হবে। কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল মুরারিচাঁদ কলেজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তথা জালালাবাদের সচেতনমহলে অত্যন্ত সুপরিচিত কাপ্তান মিয়া ব্যক্তিজীবনেও সফল। তার ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সু প্রতিষ্ঠিত। সন্তান-উত্তরাধিকারী ছাড়াও দেশ-বিদেশে ওই কর্মবীরের অসংখ্য স্বজন এবং গুণগহী রয়েছেন।

১৯৪৪ ইংরেজী আসাম পুলিশ চাকুরী স্থানান্তর করে সিলেটে বদলী করা হয়। অবসন ছিলো অন্য সরকারি দফতরে যেতে পারবেন, তিনি শিক্ষা বিভাগেরে চাকুরী পছন্দ করায় তাঁকে সরকারী মুরারি চাঁদ কলেজে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।উনার জন্ম দাফতরিক রেকর্ড অনু্যায়ী ১৯২০। ইংরেজি,উর্দু, হিন্দি ও আসামী ভাষায় দক্ষতা ছিলো।