- এপ্রিল ২০, ২০২০
- মতামত
- 982
মতামতঃ আমরা মানব জাতি। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। আল্লাহকে ভয় করি না, মরনকে ভয় করি। এখন আমরা মরনকেও ভয় করিনা। যেকোনো মানুষ ‘করোনা ভাইরাসে’ সংক্রমিত হলে বাঁচা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এটা জেনেও সেই ‘করোনাকে’ উপেক্ষা করে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব কিছুই করে যাচ্ছি।
‘করোনা ভাইরাস’ প্রতিরোধে আজ আমরা গৃহবন্দী থাকার কথা। সরকারের নির্দেশিকা না মেনে প্রসাশনের সাথে লুকোচুরি খেলায় মগ্ন থাকি। করোনা ভাইরাসকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করি। ‘করোনা ভাইরাসকে’ ‘করোনা ভাইসাব’ বলে উপহাস করি। আমাদেরকে বুঝালে রেগে গিয়ে মানুষকে যা তা বলে ফেলি। বলি হায়াত থাকলে বাঁচুম, না থাকলে মরুম। তাতে আপনার কি? আপনার যদি ভালো লাগে ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। আমরা পারুমনা। আমাদেরকে নিষেধ করার আপনি কে? আরও কত কিছু গালমন্দ করি।
আসলেই আমরা নির্বোধ হয়ে গেছি। বুঝতে চেষ্টাই করিনা যে, মরনঘাতী ভাইরাসটি কি? ‘করোনা’ একটি ছোঁয়াচে রোগ। আপনি সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে গেলেই নিজে সংক্রমিত হবেন। করোনা সম্পর্কে আর ব্যাখ্যা না ই দিলাম। আমরা সরকারি বিধি-নিষেধ, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বের হয়ে ভাইরাসটিকে ডেকে আনি। ‘করোনা’ নিজে আমাদেরকে চিনেনা এবং বাসার ঠিকানাও জানেনা। ‘করোনা’ র সাথে সম্পর্ক গড়ে নিমন্ত্রন জানিয়ে বাসায় এনে আদর আপ্যায়ন করলে এর পরিনাম যে কি ভয়াবহ হবে? তা আমাদের বোধগম্য থাকা উচিত।
আসুন ‘করোনা’ প্রতিরোধে নিজেদের অজ্ঞতা দূর করে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সরকারি বিধি-নিষেধ,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে উদ্বোধ্য করি। আমরা ঘরে থাকি, মাস্ক ব্যবহার করি, সাবান দিয়ে বার বার হাত ধুই, একে অপরের সাথে দেখা না করি, বিভিন্ন স্থানে আড্ডা না দেই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি প্রয়োজনে বের হই, ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করি এবং প্রতিটি এলাকায় বহিরাগতদেরকে সচেতন করে কোয়ারান্টাইনে রাখি নিজেকে সুরক্ষিত রাখি এবং অন্যদেরকেও সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করি।
সারা জাহানে আল্লাহর রহমত ছাড়া আমাদের আর কোন প্রতিষেধক নেই। এ মহামারী থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তাওবা, ইস্তেগফার করে প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। (আমিন)
লেখকঃ আবদাল মিয়া
সাংবাদিক