- এপ্রিল ২৫, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 902
নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে পাওয়া গেল সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল থেকে পালিয়ে যাওয়া করোনাক্রান্ত আসল নারীকে। শনিবার বিকেলে পুলিশের জিম্মায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমিনা বেগম নামের ওই নারীকে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের কাকুয়ারপাড় গ্রামে পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে তার অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ। পরে বিকাল ৪টার দিকে ওই গ্রামে যান স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের একটি দল।
নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন ও খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন।
জানা যায়, আমিনা বেগমের বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে। তবে বর্তমানে তার বাবা শফিক মিয়া খদিমনগরের লাখাউড়ায় বসবাস করছেন। তিনি সিলেটের আদালতের কর্মচারী। শফিক মিয়া বিয়ে করেছেন খাদিমনগরের কাকুয়ারপাড়ে। আমিনার স্বামী শাহীনের বাড়ি টাঙ্গাইলে। ওসমানী হাসপাতালে ভর্তির সময় নিজের স্বামীর নাম্বার না দিয়ে বাবার নাম্বার দিয়েছিলেন আমিনা। তিনি হাসপাতাল থেকে পালানোর পর ওই নাম্বার বন্ধ ছিল।
‘আজ শনিবার ওই নাম্বার খোলা পেয়ে পুলিশ আমিনার বাবা শফিক মিয়াকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। শফিক মিয়া পুলিশের কাছে আমিনার অবস্থান কাকুয়ারপাড়ে নানার বাড়িতে বলে জানান। পরে পুলিশসহ আমরা কাকুয়ারপাড়ে আমিনার নানার বাড়িতে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে আমিনা পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের চেষ্টায় আমিনা পালাতে পারেননি।’
নগরীর বিমানবন্দর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন উদ্ধার করার ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করে করোনায় আক্রান্ত প্রকৃত আমিনার সন্ধান পেয়েছি। তাকে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ এদিকে, কাকুয়ারপাড়ে আমিনার নানাবাড়িকে লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে গত বুধবার এক নবজাতকের জন্ম দেন আমিনা বেগম। ওই নবজাতক বৃহস্পতিবার মারা যায়। আমিনার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যাওয়ায় তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে সনাক্ত হন। পরে দেখা যায় তিনি হাসপাতালে নেই।
ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পজিটিভ শুনে ওই নারী পালিয়ে গেছেন।
এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার খাদিমনগর রঙ্গিটিলা এলাকার আমিনা বেগম নামের এক নারীকে পুলিশের সহায়তায় শহীদ শামসুদ্দিন আহম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনিই করোনাক্রান্ত আমিনা বলে সন্দেহ করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ না থাকায় বিকালে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অবশেষে আজ শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আসল আমিনা বেগমকে পাওয়া গেল।