- এপ্রিল ২৫, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 657
নিউজ ডেস্কঃ হবিগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বিস্তারে সহায়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) হবিগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল ।
তারা বলেন, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনার ঘটার পরও কঠোরভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে সংক্রমণ বিস্তারে সহায়ক এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের নিম্নলিখিত দাবিসমূহ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের প্রতি জুড়ালো আহবান জানাচ্ছি।
১.হবিগঞ্জে এখন প্রতিদিনই ক্রমবর্ধমান হারে নতুন রোগী চিহ্নিত হচ্ছে ও হবে। তাই করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। এই জন্য হবিগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য পরিকল্পনা মাফিক ব্যাপক রুগী চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘আই সি ইউ’ এর ব্যবস্থা করতে হবে।
২.যেহেতু হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল, জেলা প্রশাসন কার্যালয়সহ সংবেদনশীল গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সেহেতু সমগ্র হবিগঞ্জ কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করে জনগুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা সমূহ চালু রাখার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩.সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টুনির আওতার বাইরে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার সমূহের তালিকা যথাযথভাবে প্রণয়ন করে সমাজের উচ্চবিত্ত ও স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে পরিকল্পিত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট এলাকাভিত্তিক জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
৪.করোনা সংক্রান্ত দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্পৃক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে যেন সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ও পূর্ণ মানসম্পন্ন সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করে তা নিরবচ্ছিন্ন, সঠিক ও অবারিত প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত করতে হবে।
৫.হাট-বাজারে মানুষের সমাগম দেখে মনে হয় অনেক মানুষ জেনে বা না জেনে সরকারের নির্দেশ অমান্য করছেন। এ ব্যাপারে অবশ্যই কঠোর সিদ্ধান্ত করতে হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট ও সীমিত পরিসরে যথাযথ গুরুত্ব বজায় রেখে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬.সর্বোপরি হোটেল রেস্তোরা মিষ্টির দোকান খোলার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে গ্রহণ করেছে প্রশাসন আমরা এই ধরণের সিদ্ধান্তের গ্রহণ সমীচীন নয় বলে আমরা মনে করি।