• এপ্রিল ৩০, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 660
বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ইফা’র শিক্ষকরা

আব্দাল মিয়া, বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ গত ৪ মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর কর্মরত শিক্ষকরা। একদিকে নেই বেতন, অন্যদিকে অন্যান্য কর্মস্থলও করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।

জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশ বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ বিষয়ে ওই সালের ২৮ মার্চ আইন প্রণীত হয়। এরপর ইসলামের বাঁতিঘর বলে পরিচিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হচ্ছে মক্তব ভিত্তিক শিশুও গণশিক্ষা। এ প্রকল্পে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন।

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন, বাল্যবিবাহ রোধ থেকে শুরু করে জাতীয় বিভিন্ন দূর্যোগে ফাউন্ডেশন এর শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি মসজিদের মিম্বরে প্রত্যেক ইমামগণ জঙ্গিবাদের কু-ফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে আসছেন। তাছাড়া গুজবের পরিণাম সম্পর্কেও মুসল্লীদের অবহিত করছেন এসব শিক্ষকরাই।

সেইসব শিক্ষকরা ৪মাস যাবত বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেতন পাচ্ছেন না ফাউন্ডেশন এর মডেল কেয়ারটেকার ও সাধারণ কেয়ারটেকারগণও।

একটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অধীনে সারাদেশে একযোগে ক্বওমী নেসাবে ১ হাজার ১০ জন শিক্ষক ও আলীয়া নেসাবে ১ হাজার ১০জন শিক্ষকসহ মোট ২হাজার ২০জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে “দারুল আরকাম” মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারনে আলেম-ওলামাসহ ইসলামি ভাবধারা মানুষের কাছে আলাদা একটি ইমেজ সৃষ্টি হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। সেই সব শিক্ষকরাও ৪মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না।

মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষক মাওলানা শায়খ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের যে কোন দূর্যোগ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছি। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে একেবারেই সোচ্চার। আজ আমাদের প্রকল্প ঝুলে রয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় অতি শীঘ্রই একনেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মসজিদ ভিত্তিক শিশুও গণ শিক্ষা প্রকল্প পাশ হবে এবং অসহায় শিক্ষকদের বেতন এবং বোনাস শীঘ্রই দেওয়া হবে।