• মে ১, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 777
হবিগঞ্জে নতুন করে আরও ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে ৪ সরকারি কর্মকর্তা এবং এক নার্সসহ নতুন করে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন । এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ জন।

ঢাকার ল্যাব থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ১২ জন আক্রান্তের বিষয়টি জানান, হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল। আক্রান্তদের বয়স ১৪ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে বানিয়াচং উপজেলার ১ জন, বাহুবল ১ জন, চুনারুঘাট ১ জন, মাধবপুর ৩ জন, নবীগঞ্জ ৫ জন ও হবিগঞ্জ সদরে ১ জন। এর মাঝে ১০ জন পুরুষ এবং দুইজন নারী।

অন্যদিকে রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে আরো ৬ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদরে ৪ জন এবং লাখাই ও নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের পুর্ণাঙ্গ বিবরণ সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানিয়েছেন।

বিকেলে ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে আক্রান্তরা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার সোনালী ব্যাংক বড় বাজার ব্র্যাঞ্চের ব্যবস্থাপক, চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স, মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের ৩ জন সরকারি কর্মকর্তা, বাহুবল উপজেলার ১৪ বছর বয়সী মোটরসাইকেল গ্যারেজ কর্মী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার একজন শিক্ষার্থী এবং নবীগঞ্জের আক্রান্ত ৫ জনই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গার্মেন্টস কর্মী।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আক্রান্তদেরকে আইসোলেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পরিবারকেও কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে। এদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে আরও জানা গেছে, এ জেলায় আক্রান্ত ৭২ জনের মধ্যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী ২১ জন এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ৮ জন। ইতোমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালসহ তিনটি সরকারি হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে আসা এক ব্যক্তির নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে। এরপর ২০ এপ্রিল এক চিকিৎসক ও এক নার্সসহ ১০ জন, ২১ এপ্রিল একজন নার্সসহ দুইজন, ২২ এপ্রিল পাঁচজন, ২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিন জন, ২৪ এপ্রিল চিকিৎসকসহ পাঁচ জন, ২৫ এপ্রিল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২১ জন, ২৬ এপ্রিল এক ম্যাজিস্ট্রেট, ২৮ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৪ জন , ৩০ এপ্রিল একজন চিকিৎসক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং সর্বশেষ ১ মে আক্রান্ত হয়েছেন একজন নার্স ও তিনজন সরকারি কর্মকর্তাসহ আরো ১৮ জন।