- মে ৯, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 594
আব্দাল মিয়া,বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে মহা দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন বানিয়াচংয়ের গরুর খামারিরা। করোনা ভাইরাসের থাবায় সারা পৃথিবীটাই যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মুখ থুবরে পড়েছে শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে সব ধরণের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে একটি হচ্ছে গরুর খামার।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিছু সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণির খামারি, গরুর খামার করে লাখ লাখ টাকা আয় করে থাকেন প্রতি বছর। করোনা ভাইরাসের থাবায় এবছর কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের। একদিকে গরুর খাবার থেকে শুরু করে ওষুধসহ বিভিন্ন উপকরণ এর মূল্য অনেক বেশি, অন্যদিকে কোরবানির ঈদে গরুর সঠিক মূল্য না পাওয়া যায় তাতে বড় ধরণের লোকসান গুনতে হতে পারে খামারিদের। সে লোকসান পুষিয়ে ওঠা অনেকের জন্য সম্ভব নাও হতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০/৫০টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে দুগ্ধ খামারও আছে। এসব খামারে কয়েক কোটি টাকার গরু রয়েছে। অনেকে জমিজমা বিক্রি করে গরুর খামার দিয়েছেন। আবার অনেকের রয়েছে ব্যাংক ঋণও। সেই খামারের দিকে তাকিয়ে আছেন পরিবারের লোকজন। খামারের আয় থেকেই সারা বছর পরিবারের ব্যয় করতে হয় তাদের। করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। ফলে জীবনমান অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে মানুষের।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশী এবং বিদেশী জাতের গরু লালন-পালন করে থাকেন খামারিরা। পরিবেশ যে শীঘ্রই অনুকূলে আসবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। সেই সাথে এর প্রভাব অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে।
লোকসানের মুখে পড়েছেন দুগ্ধ খামারিরাও। হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ থাকায় বাজারজাত করা যাচ্ছে না দুধ। এতে প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
এ ব্যাপারে খামারি মাহমুদ হোসেন জানান, আমার খামারে প্রায় ৮/১০ লাখ টাকার গরু আছে। আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে লালন-পালন করে যাচ্ছি। ঔষধসহ খাদ্যে মাসে অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক ঋণীও হয়ে গেছি। কোরবানির ঈদে যদি গরুর সঠিক মূল্য না পাই তাহলে এ পেশায় টিকে থাকা আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করি।