- মে ২৬, ২০২০
- জাতীয়
- 504
নিউজ ডেস্কঃ ঈদের সময় গ্রাম-শহরের মানুষের অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সামনে দেশের জন্য আরো কঠিন সময় আসছে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ওবায়দুল কাদরে বলেন, প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের কোনো বিকল্প নেই। ঈদের সময় ও এর প্রাক্কালে গ্রামে ও শহরে মানুষের অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনের কঠিন সময় আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ধৈর্য হারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করি।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সরকারি নিজ বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে শৈথিল্য ভাব সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ধৈর্য ও শৃংখলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলেও অনেকেই এসব কানে তুলছেন না। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘোরাফেরা করছেন হাট-বাজারে, ভিড়ে সমাগমে অংশ নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। এ উদাসীনতায় নিজে ও আশপাশের সবার ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছেন। অবনতি ঘটেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের। এতে শহরে গ্রামে সর্বত্রই সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে।
ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দয়া করে আসুন সবাই সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলি। কারণ প্রতিকার সমাধান নয়, এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে ও সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আপনার সামান্যতম শৈথিল্য নিজ পরিবার এবং পার্শ্ববর্তী সবার জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ এবং অঞ্চলসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানের আরো অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ২৩তম। এর সংক্রমণ থেকে ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউই রেহাই পাচ্ছে না। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার তথা সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সামনের কঠিন সময় আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আগামী কিছুদিন পরিস্থিতি বাংলাদেশে আরো কঠিন হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ধৈর্য হারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। যারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করেছেন তাদেরও মনোবল না হারিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াইয়ের অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা মনে সাহস রাখুন, ধৈর্য ধরুন। সংকট ও দুর্যোগের সাহসী নেতৃত্ব শেখ হাসিনা ও তার সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। জনগণের সহযোগিতা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার আঁধার কাটিয়ে উঠব ইনশাল্লাহ।
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ ও গৃহীত এবং বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত যখন দেশ-বিদেশে প্রশংসিত তখন মির্জা ফখরুল সাহেবেরা পুরনো নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদের দিনে মানুষের পাশে না থেকে, মানুষকে সাহস না জুগিয়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার মরচে ধরা সমালোচনার তীর ছুড়েছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। নিজেরা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন না, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজখবর নেবেন না অথচ মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করবেন, এটাই কি বিএনপির রাজনীতি? ঈদের দিনেও জনগণ তাদের মুখে বিষ থেকে রেহাই পায়নি।