• জুলাই ১২, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 520
সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে আবারো সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।

বন্যায় কারণে জেলার বেশিরভাগ এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

রবিবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সুনামঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫০ মিলিমিটার।

এদিকে, সড়কে ভাঙন ও রাস্তা তলিয়ে যাওয়া জেলা সদরের সাথে তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভররপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন দুর্গতরা।

নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ডুবে গেছে পথঘাট। চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে কয়েক লাখ পানিবন্দি মানুষের। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক পরিবার খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

প্রথম ধাপের বন্যার ভোগান্তি না শেষ না হতেই ফের বন্যায় কবলিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ১১ উপজেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। কবে নাগাদ এই দুভোর্গের পরিসমাপ্তি হবে জানেন না বানবাসীরা। অনেকেই ঘরবাড়ী ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও অভোক্ত মানুষগুলো রয়েছেন খাবারের দুঃচিন্তায়। এখনও বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্র বা পানিবন্ধীদের কাছে কোনো ধরনে ত্রাণ সামগ্রি বা সরকারি সহযোগিতা পৌঁছায়নি।

এদিকে বানবাসীদের সহযোগিতায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগ, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বন্যায় নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম, জরুরী মেডিকেল ক্যাম্প ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

তিনি জানান বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের হাতে ৪০০ মেট্রিকটন চাল ও ৮ লাখ নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ কাজ করছেন।

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ ও পুনবার্সনে সরকার যতেষ্ঠ আন্তরিক বলে জানিয়েছেন তিনি।