• জুলাই ২৬, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 383
কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে ২৫ দিন

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের অন্যতম বড় নদী কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টের মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা থেকে নামছেই না। ২ জুলাই থেকে সেখানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে। আজ রোববার সেখানে পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকার ২৫ দিন পূর্ণ হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট অঞ্চলের দুই প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। সুরমা প্রবাহিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা দিয়ে। কুশিয়ারা সিলেট জেলার পাঁচটি উপজেলা হয়ে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলার একাংশ দিয়ে প্রবহমান। বর্ষায় সীমান্ত নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামলে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বাড়ে। গত ৩০ জুন থেকে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু হয়। দুই নদীর পানি ওই সময় থেকে বাড়ছিল।

পাউবো জানায়, সিলেট শহর ও কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি পরিমাপ করা হয়। পানি বাড়ার প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেট শহর পয়েন্ট থেকে পানি বিপৎসীমা থেকে নামে। প্রায় ১৫ দিন পর গতকাল শনিবার কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমা থেকে নেমে যায়।

আজ দুপুরে সুরমার সিলেট শহর পয়েন্ট দিয়ে পানি ১০ দশমিক ১৮ মিটার ও কানাইঘাটে ১২ দশমিক ৫২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানির বিপৎসীমা কানাইঘাটে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার ও শহর পয়েন্টে ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এ হিসাবে সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এখন।

কিন্তু কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টের মধ্যে শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল, দুপুর ও গতকাল সন্ধ্যায় তিনটি পরিমাপ অনুযায়ী ফেঞ্চুগঞ্জে পানি কমছিল খুব ধীরে।

পাউবোর দৈনিক পানির স্তর–সম্পর্কিত তথ্যে দেখা গেছে, কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টের মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি সবার আগে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ৩০ জুন থেকে পানি বেড়ে ২ জুলাই সকাল নয়টায় ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। একই সময় কুশিয়ারার উৎসমুখ জকিগঞ্জের অমলসিদসহ বিয়ানীবাজারের শেওলা ও মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। ১ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় ৯ দশমিক ৪৩ মিটার থেকে বেড়ে ২ জুলাই সকাল ৬টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এরপর ধাপে ধাপে বাড়ছিল। কুশিয়ারার অন্যান্য পয়েন্টে ও সুরমাসহ সীমান্ত নদীর পানি কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত ছিল। পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকার ২২তম দিনে আজ সকাল ছয়টা ও সকাল নয়টায় দুটো পরিমাপ অনুযায়ী, পানি কমেছে মাত্র দশমিক ১ সেন্টিমিটার। দুপুর ১২টায় সেখানে পানি ৯ দশমিক ৯২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবোর নদ-নদী পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারার মধ্যবর্তী এলাকা। উজান ও ভাটির দিকে পানি পুরোপুরি কমার পর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি কমে। ধারাবাহিক এই পর্যবেক্ষণ থেকে বলা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি কমা শুরু হলে পুরো কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবাহ স্বাভাবিক বলে গণ্য করা হয়।