- অক্টোবর ১৮, ২০২০
- রাজনীতি
- 536
নিউজ ডেস্কঃ আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলিনি। আমরাতো ২০১৮ সালের নির্বাচনই মানি না। সেটাকেই অবৈধ বলছি। সেটাকেই বাতিল করার কথা বলছি। আমাদের সব স্টেটমেন্টে একথা বলেছি যে, ওই নির্বাচন আমরা মানি না, ওটা বাতিল করে ফ্রেশ ইলেকশন দেওয়া হোক। ব্যক্তিগতভাবে কেউ বলতে পারেন। সেটা তাদের মতামত।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ফখরুল।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের চরম ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ধর্ষকদের সরকারি দলের প্রশ্রয় অথবা ধর্ষক সরকারিদলের সদস্য বলে কোনো বিচার হয় না। শনিবার ধর্ষণবিরোধী লংমার্চের আন্দোলনকারীদের ওপর ফেনীতে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের হামলা প্রমাণ করেছে যে, পুলিশের সারাদেশে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ শুধু লোক দেখানো।
‘সম্প্রতি পাবনা, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ এর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতোই ত্রাস সৃষ্টি করে এবং কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সিল মেরে বিরোধীদলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করেছে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে। রিটার্নিং অফিসার ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ নেননি। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে চরম বিপাকে ফেলেছে। সরকারিদলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতায় দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে অপপ্রচার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেকজনক। এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানবিরোধী। অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম থেকেই আমরা বলেছি ম্যাডাম অসুস্থ। আমরা বরাবরই তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট চেয়েছি। এখানের ডাক্তার যারা আছেন তারা বলেছেন, তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার। সেই অ্যাডভান্স সেন্টারতো আমাদের এখানে নেই। হয়তো ট্রিটমেন্ট আছে, কিন্তু আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো নেই।
বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে আমরা কোনো উদ্যোগ নেইনি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাসায় এসে অন্তরীণ হয়েছেন সেটাও পরিবারের উদ্যোগে সরকার ব্যবস্থা করেছে। তিনিতো মুক্ত নন।
‘বলা হয়েছে যে সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলেতো তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকার কথা না। পার্থক্য হয়েছে এটুকুই তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। হোমলি পরিবেশের মধ্যে আছেন। যাকে সোজা কথায় বলা যায় গৃহে অন্তরীণ করা।