- অক্টোবর ১৮, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 500
নিউজ ডেস্কঃ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান উদ্দিনের হত্যাকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছে সিলেট নগরের বৃহত্তর আখালিয়াবাসী। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে হরতাল, সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নিহত রায়হানের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তার মা সালমা বেগম।
তিনি বলেন, আমার ছেলে কোনো দল করতো না। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার একটাই দাবি, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পড়ে শোনান নিহত রায়হানের মায়ের মামা শওকত হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রায়হান একটি ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করতো। কে বা কারা তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়। ভোরে তৌহিদের মোবাইল থেকে রায়হান ফোন করে বলে তাকে বাঁচাতে। তিনি জানায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যেতে। ভোরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে গেলে রায়হানের চাচাকে দেখা করতে না দিয়ে সকালে আসতে বলেন। সকালে গেলে রায়হানের শরীর খারাপ করেছে এবং মেডিক্যাল যেতে বলে। হাসপাতালে সকাল ৭টা ৫০মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমিস করে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পরে উপ পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) গেলে আমরা আশাবাদী হলেও এখন মামলার ভবিষ্যত অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। তাই তাদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।
রায়হানের মা আরও বলেন, ১০ হাজার টাকা জন্য আমার ছেলেকে হত্যা করা হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। নিশ্চয়ই আরও বড় কোনো গ্যাং জড়িত রয়েছে। ১০ হাজার কেন ৫০ হাজার টাকা চাইলেও আমি দিয়ে দিতাম।
তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ বলতে আমি একটাই চাচ্ছি আমার ছেলের হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিলেও আমার ছেলেকে ফিরে পাবো না। ক্ষতিপূরণ একটাই আমার, ছেলে হত্যার ফাঁসি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, নারী কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সাবেক কমিশনার জগদীশ দাশ ও রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহসহ এলাকার মুরব্বিয়ানরা।