• ডিসেম্বর ৮, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 340
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী দ্বীপ হত্যা : ৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

নিউজ ডেস্কঃ স্বরস্বতী পূজার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে কলেজ ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী অভিষেক দে দ্বীপকে। দীর্ঘ ১১মাস তদন্তের পর গত ২২ নভেম্বর সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহপরাণ থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ অভিযোগপত্র নং-১৬৫ দাখিল করেন। আলোচিত এই হত্যা মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত দ্বীপের বন্ধুসহ ২৫জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। অভিযোগপত্রে মামলার এজহার নামীয় ৪জনসহ ৯জন ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র সূত্র জানায়,গোপলটিলা এলাকার সার্বজনীন পূজা মন্দির ও গোপালটিলা নুতনপাড়া ঐক্যথান যুব সংঘ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে পৃথকভঅবে পূজার আয়োজন করে। নিহত দ্বীপ গোপলটিলা এলাকার সার্বজনীন পূজা কমিটির সাথে পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অপরদিকে মামলার প্রধান আসামী সৈকত রায় গোপালটিলা নুতনপাড়া ঐক্যথান যুব সংঘের সাথে পূজায় অংশ নেয়। পূজায় পৃথকভাবে শোভাযাত্রা র‌্যালি বের করা হয়। ফেরার পধে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে সৈকত তাদের এলাকায় হামলার জন্য দ্বীপকে খঁজতে তাকে।

অপরদিকে মামলার অপর আসামী পূজন কলেজ ভর্তি হওয়ার পর দ্বীপকে সম্মান করত না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি টিলাগড় এলাকায় আজাদ কাপ খেলা দেখতে যায় দ্বীপসহ তার বন্ধুরা এমন খবর পেয়ে টিলাগড় এলাকাস্থ ভুট্টু রেস্টুরেন্টে সামনে অবস্থান নেয় মামলার আসামীরা। এসময় আসামী পূজনকে পাঠানো হয় দ্বীপকে ডেকে আনার জন্য। দ্বীপ আসার সাথে সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এসময় সৌরভ ও সাগর দ্বীপকে ধরে রাখলে অন্যরা তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে সৈকত দ্বীপের গলার বাম পাশে ছুরিকাঘাত করলে দ্বীপ মাঠিতে লুঠিয়ে পড়ে।

যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়, টিলাগড় এলাকার গোপলটিলার ২নং রোডের সল্টু রায়ের ছেলে সমুদ্র রায় সৈকত, একই রোডের ৬২/এ বাসার সজল দের ছেলে সৌরভ দে (২১), একই এলাকার রতন দেবের ছেলে পূজন দেব (২৯), শংকর দের ছেলে সাগর দে (২১), সঞ্জয় দে (২৩), শাপলাবাগ সি ব্লকের ২নং রোডের ১৪নং বাসার আক্তারুজ্জামানের ছেলে জুবায়ের হাসান রিমেল (২৩), একই রোডের ৭৬নং বাসার মর্তুজা হোসেনের ছেলে আদনান আহমেদ (২৪), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে শাহরিয়ার কবির ভৌমিক (২৫) ও গোপালটিলা এলাকার সজল দে’র ছেলে সজিব দে (২৩)। হত্যার ঘটনার দুদিন পর দ্বীপের পিতা দিপক দে বাদী হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি সমুদ্র সৈকতকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার পর পরই সৈকতকে গ্রেফতার করে। এরপর সঞ্জয় ও হিমেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার অন্যরা পলাতক রয়েছেন। আলোচিত এই হত্যা মামলায় ২৫জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সুরতহাল,ময়নাতদন্ত, রিমান্ডে আসামীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।