- ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
- জাতীয়
- 373
নিউজ ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ (৩৫) তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর আরাফাত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার বাকি দুজন সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। এ ছাড়া বাচ্চু (৩২) নামের একজন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসপি বলেন, আনিসুরের সঙ্গে কয়া মহাবিদ্যালয় (কলেজ) কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগীদের নিয়ে তিনি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেন।
তিনি জানান, নৈশ প্রহরী খলিলুর রহমানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে বর্তমান কর্তৃপক্ষকে বিপদে ফেলানার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের মুখ এবং নাক ভেঙে ফেলে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকালই এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নিজামুল হক চুন্ন, নৈশ প্রহরী খলিলুর রহমান এবং কয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাদের মুক্ত করে দেয়া হয়। এর ১৫ ঘণ্টার মধ্যে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন বাঘা যতীন। কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাই বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘ হত্যা করেছিলেন বলে বাঘা যতীন নামে পরিচিত পেয়েছিলেন। তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে গ্রামের কলেজের সামনে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলেন।