• ডিসেম্বর ২২, ২০২০
  • আন্তর্জাতিক
  • 456
করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে কাজ করবে ফাইজারের টিকা

নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (স্টেইন) সংক্রমণের বিরুদ্ধেও বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহিন। এর আগে গতকাল সোমবার জার্মান জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনকার টিকা কার্যকর।

করোনার নতুন স্টেইন (পরিবর্তিত রূপ) যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল রাতে জার্মানি প্রেস এজেন্সির সঙ্গে কথা বলছেন উগুর শাহিন। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকাটি যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন স্টেইনের বিরুদ্ধে কাজ করবে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমরা ইতিমধ্যে অন্য ২০টি রূপান্তরিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। গবেষণা ও পরীক্ষার সময় সর্বদাই টিকাটি অন্য রূপান্তরিত ভাইরাসগুলোকে নিষ্ক্রিয় করেছে।’

জার্মানি প্রেস এজেন্সির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে ডের স্পিগেল পত্রিকাটি জানিয়েছে, উগুর শাহিন করোনার নতুন স্টেইনের প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ভাইরাসটি হয়তো এখন আরও খানিকটা পরিবর্তিত হয়েছে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলক গবেষণায় আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

উগুর শাহিন বলেন, বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকার জন্য যে অ্যান্টিজেন (জীবাণু প্রতিরোধক) ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে ১ হাজার ২৭০টিরও বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে নতুন স্টেইনে কেবল নয়টি রূপান্তরিত হয়েছে, যা ১ শতাংশের কম। টিকাটি সমস্ত প্রোটিন দেখে এবং একাধিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে শরীরে কাজ করবে। তবে করোনার নতুন স্টেইনের রূপটিকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

ইইউর ওষুধ নিবন্ধনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান (এমা) গতকাল বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকাটি ইইউভুক্ত ২৭ দেশে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উগুর শাহিন জানিয়েছেন, এমার নিবন্ধনপ্রক্রিয়াটি বেশ লম্বা। তাদের তৈরি টিকা নিয়ে ইইউ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দেশকে তাদের গবেষণা ও টিকার মান নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে।

উগুর শাহিনের প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং মেডিকেল ডিরেক্টর ইজলেম তারেসি এখন পর্যন্ত তাঁদের সংস্থায় তৈরি টিকাটি গ্রহণ করেননি। এ প্রতিষ্ঠানের অন্য গবেষকও কর্মচারীরা তা গ্রহণ করেননি জানিয়ে তিনি বলেন, জার্মানি সরকারের টিকাবিষয়ক কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁদের পর্ব এলে টিকাটি গ্রহণ করবেন।

জার্মানিতে কঠোর লকডাউন বিধি জারির পরেও গতকাল থেকে আজ মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৫২৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। জার্মানির সংক্রমণ রোগবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, করোনায় ৫৪৪ জন মারা গেছেন।