- ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 381
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হাঁটতে হাঁটতে সড়কের ওপর চলে এসেছিল চার বছর বয়সী শিশুটি। এমন সময় সড়কে আসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। শিশুটিকে রক্ষা করতে হঠাৎ ব্রেক করায় অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এতে আহত হন তিনজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর রব বানু (৫২) নামের এক নারী যাত্রীর মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর বাড়ি উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সোনাহর আলীর স্ত্রী।
ধরমপাশা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেলবরষ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সামনের সড়ক থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা দুজন যাত্রী নিয়ে ধরমপাশা বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে আহম্মদপুর গ্রামের সামনের সড়কে ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার চার বয়সী শিশু স্বর্ণা আক্তার হাঁটতে হাঁটতে নিজ গ্রামের সামনের সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে চলে আসে। এ সময় ওই শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে চালক অটোরিকশাটি থামানোর চেষ্টা করলে এটি উল্টে সড়কের এক পাশে পড়ে যায়। এতে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা শিশু স্বর্ণা আক্তার, অটোরিকশা চালক মিন্টু মিয়া (৪০) এবং অটোরিকশার যাত্রী মর্তুজ আলী (৩৮) ও রব বানু (৫২) আহত হন।
গুরুতর আহত রব বানুকে অচেতন অবস্থায় তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে নিতেই বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা উম্মে হালিমা বলেন, ওই নারী বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কী কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে সুস্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।
ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাস্মদ দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা চার বছর বয়সী এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় নিহত নারীর স্বজনেরা এ ব্যাপারে মামলা করবেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।