হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মাধবপুরে চিরকুট লিখে চা শ্রমিক গৃহবধু ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।সাথে থাকা লাল  রঙের ব্যাগের মধ্যে চিরকুটে লেখা ছিল,  “আমি পেকটেন, বলরাম তা শিকার করেছে। আমি আত্মহত্যা করছি। কখনও ক্ষমা কর না।”

ভাঙ্গা ভাঙ্গা অক্ষরে নিজ হাতে সুইসাইড নোট লিখে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দুই সন্তানের চা শ্রমিক গৃহবধু।

শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আখাউড়া সিলেট রেলসেকশনের তেলিয়াপাড়া রেল ষ্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধু উপজেলার সুরমা চা বাগান মাহজিল ডিভিশনের বলরাম সাওতালের স্ত্রী মন্দিরা সাওতাল (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই চা শ্রমিক গৃহবধু তেলিয়াপাড়া রেলষ্টেশনের নিকট একটি লাল ব্যাগ নিয়ে ঘুরাফেরা করছিল। ওই সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা ট্রেন তেলিয়াপাড়া আসা মাত্র তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। এতে তার মাথা দেহ থেকে দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে। মৃত্যুর পর লাল একটি ব্যাগে তার সুইসাইড নোটে উপরোক্ত লেখা দেখা যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ হোসেন এ গৃহবধুর লাশ শনাক্ত করে বলেন, সুরমা চা বাগানের মাহজিল ডিভিশনের বলরাম সাওতাল ২ বছর আগে মাহজিল এলাকার রমেশ মরমুর মেয়ে ঝর্না মরমুর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক করে ঝর্নাকে বিয়ে করে। ঝর্নাকে বিয়ের পর বলরাম সাওতালের সংসারে দুই সতিনের মধ্যে গৃহ বিবাদ ছিল নিত্যদিনের। মন্দিরা সাওতাল স্বামী ও সতীনের সংসারে চরম বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি রেলের উপর হওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।