- ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
- জাতীয়
- 287
নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে জাতীয় জীবনে যে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছে, সেই ধরনের নেতৃত্বের ঐক্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (সাফা) আন্তর্জাতিক কনফারেন্স-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেহবাদীরাও জানেন যে এখন সুইচ চাপলে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। শুধু তার ঘরে নয়, সুদূর প্রান্তের পঞ্চগড়, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরার গ্রামে কুঁড়েঘরেও সুইচ চাপলে বিদ্যুৎ মেলে। সন্দেহবাদীরা এটা দেখুন। এখন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যেতে কোনো সেতু, ব্রিজ পার না হয়ে ভোরবেলা শুরু করলে সন্ধ্যাবেলা হয়তো পৌঁছা যাবে, যদি কোথাও সময় ব্যয় না করা হয়। সন্দেহবাদীরা দেখছেন যে— আমাদের বিশাল বিশাল নদী আমাদেরকে দু’ভাগ করেছে, সেটাকে আমরা দুই জায়গায় সংযোগ করে ফেলেছি প্রায়। তারা জানেন যে—
এখন আমাদের গড় আয়ু প্রায় বিশ্ব মানের। আমাদের অঞ্চলের যেকোনো দেশের তুলনায় ভাল। এর পেছনে শক্তি অবশ্যই আমাদের দেশের মানুষ। আমাদের পরিশ্রমী মানুষ। যারা কল-কারখানায় ক্ষেতে-খামারে পরিশ্রম করে উৎপাদন করেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সকল কাজে একটি কেন্দ্রীয় শক্তি রয়েছে, নেতৃত্বের শক্তি। আরেকটি শক্তি রয়েছে, সেটি স্থিতিশীলতার শক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, জাতির মহাদুর্যোগের সময় আমরা নেতৃত্ব পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সঙ্গে যারা এগিয়ে এসেছিলেন হাজার হাজার লাখে লাখে, তারা চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। সেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল বলেই হাজার বছরের অমানিশার পরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
সেই ধরনের নেতৃত্বের দৃঢ়তা, ঐক্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘কারণ যে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে, বিগত ১২ বছরে যে নেতৃত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। আমি স্তুতি বাক্য দিচ্ছি না, তাকে খুশি করার প্রয়োজনও নেই। একজন বয়স্ক নাগরিক হিসেবে বলছি। আমাদের যে অর্জন শুরু হয়েছে, এটাকে ধরে রাখার জন্য, সংহত করার জন্য। এজন্য প্রয়োজন হবে সামাজিক ঐক্য, দৃঢ় বিশ্বাস, আস্থা এবং নেতৃত্ব। যে নেতৃত্ব এরই মধ্যে স্বীকৃত হয়েছে সারাবিশ্বে। সেই নেতৃত্বকে সহায়তা দেয়া, বিবেচনা করা, স্নেহ করা; সেটা আমি আপনাদের কাছে আশা করতে পারি।’