• ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
  • জাতীয়
  • 266
আরও ১ মাস বাড়তে পারে স্কুল-কলেজের ছুটি, ঘোষণা কাল

নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ ছুটি আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ছুটি আরও ১৫ দিন নাকি ৩০ দিন বাড়ানো হবে সে বিষয়ে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি চলমান ছুটি আরও বাড়াতে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ কারণে আগামী ১৫ বা ৩০ দিন নতুন করে ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে তা পাস করা হবে।’

জানা গেছে, নতুন করে ছুটি বাড়ানোর সময়গুলোতে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে সংসদ টিভি, রেডিও, অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময় নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে হবে। তবে কওমি মাদরাসায় যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের শনিবার বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। তবে কতদিন বাড়বে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

আজ রাতে বা কাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সেই ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি যদি আর খারাপ না হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে গত ২৭ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরপর ২৮ জানুয়ারি সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পরিবীক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।