• ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
  • লিড নিউস
  • 636
চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মামলা, আসামি তিন শতাধিক

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট নগরের চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা তিনটি সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা হয়। যার মধ্যে দুটি মামলা পুলিশ বাদি ও একটি মামলা সিলেট সিটি করপোরেশন বাদী হয়ে করে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।

তিনি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে করা অস্ত্র মামলায় ফয়সল আহমদ ফাহাদকে (৩৮) নামের একজনকেই আসামি করা হয়েছে, এবং তিনি এই মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। মামলাটি করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান। এদিকে পুলিশের করা আরেক মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি পুলিশ এসল্ট মামলা, যার বাদী সিলেট কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান।

এছাড়া চৌহাট্টায় সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটির বাদী সিসিকের উপ সহকারি প্রকৌশলী দেবব্রত দাস। মামলাতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বেলা একটায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চৌহাট্টা এলাকায়।

পরে চৌহাট্টা থেকে পরিবহন শ্রমিকদের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডিপুল এলাকায় এসে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা এলোমেলো গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে অবস্থান নেয়। তখন তারা চৌহাট্টায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও পূর্বের স্থান স্ট্যান্ডের জন্য বহাল রাখার দাবি জানান। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা বন্ধ করে রাখবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। পরে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এদিকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (১৪১৮) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি ময়নুল ইসলাম।

তাদের দাবী আগামী রোববারের মধ্যে স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে না দিলে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হবে।