- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 318
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় অঞ্জনা রাণী সূত্রধরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী নিতেশ বণিক। আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন নিতেশ। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
এদিকে, নিহতের ভাই সমীর সূত্রধর লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামি অঞ্জনার স্বামী নিতেশ। মামলা দায়ের ও ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, অঞ্জনার সঙ্গে তার স্বামী সমীরের মনোমালিন্য ছিল। সমীর মাদক সেবন করতেন। ঘটনার দিন তিনি মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় অঞ্জনা সমীরকে মারধরের চেষ্টা করেন। তখন সমীর ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে অঞ্জনাকে হত্যা করেন। অন্য একজনের সঙ্গে অঞ্জনার পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক জিয়াউর রহমান বলেন, জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হবে।
অঞ্জনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামের মৃত বিজয় বণিকের মেয়ে। প্রায় আড়াই বছর আগে লাখাই উপজেলার বণিকপাড়া গ্রামের নিতেশ বণিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। দুইজনের সংসারে ১৯ মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) নিতেশের বসতঘরে অঞ্জনার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।