• এপ্রিল ১, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 270
সিলেটের রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে করোনা হাসপাতাল

নিউজ ডেস্কঃ সারাদেশের মতো সিলেটেও দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এতে করোনার জন্য ডেডিকেটেড চিকিৎসা কেন্দ্র শহীদ ডা.শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনের হিসাবকে। ফলে কোভিডে আক্রান্ত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের।

এদিকে, শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এই হাসপাতালে মোট ১৬টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। বেশিরভাগ দিনই খালি থাকে না কোনো আইসিইউ শয্যা। ফলে অনেক রোগী চাইলেও ভর্তি হতে পারছেন না এখানে।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১০০টি। এর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ শয্যা। বুধবার (৩১ মার্চ) বেলা ২টা পর্যন্ত ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ৮৭ জন। এদের মধ্যে যারা ভর্তি রয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। এছাড়া ১২ জন রোগী সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।

এদিকে হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীদের অনেকেও আইসিইউ সাপোর্ট পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে শয্যা না পেয়ে ছাড়পত্র নিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছেন বেসরকারি করোনা চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে।

তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি এখানে অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত আইসিইউ সাপোর্ট হয়েছে। প্রয়োজনীয় সকলকেই দেয়া হচ্ছে আইসিইউ সাপোর্ট।

সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে বুধবার (৩১ মার্চ) বেলা ২টা পর্যন্ত ভর্তি ৮৭ রোগীর মধ্যে ৩৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছে। এছাড়া ভর্তি থাকা বাকি ৫৪ জনের সকলের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে থাকা ১৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১২টিতে সেবা নিচ্ছেন সেখানে ভর্তি থাকা রোগীরা। যাদের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ ও বাকি ভর্তি ৭ জনের করোনা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

এদিকে হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিতে এসে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন করোনার উপসর্গ থাকা রোগীরা। প্রতিদিন বাড়ছে এর সংখ্যাও। সবিশেষ বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিয়েছেন ৬০ জন (চলমান)। যা আগের সর্বমোট সংখ্যা ছিলো ৬৫ জনে। এছাড়া এর আগেরদিন এর সংখ্যা ছিলো ৬০ জনে।

সিলেটে গত বছরের করোনা সংক্রমণের পর থেকে রোগীদের সরকারীভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। এই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চয়ন রায় বলেন, বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে একটু জটিল রোগীদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এত বেশি ও জটিল রোগী আসছেন যে তা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে চলতি বছরের মার্চের শুরুর দিক থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ ভাবে নতুন করে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগীদেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। যা প্রতিটি রোগীকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে সিলেটে করোনায় আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার কম বলে একটু স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ চিকিৎসক।