- মে ১৬, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 313
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে উবার চালক রেদওয়ান রশীদ চৌধুরী সৌরভ (৩০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মোগলাবাজার থানা পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় পুলিশ সৌরভের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে।
শনিবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে মোগলাবাজার থানা পুলিশ রাজনগর থানা পুলিশের সহযোগীতায় রাজনগরের মুন্সিবাজারের জুয়েলের বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তার বাড়ি থেকে সৌরভের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। সৌরভ হত্যার ঘটনায় পুলিশ এরআগে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এনাম আহমদ নামের ২ যুবককে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে আল মামুনকে সিলেটের বন্দরবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ও এনামকে গোলাপগঞ্জের আছিরখাল থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজনগরে অভিযান চালায় পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সৌরভ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় মামুন ও এনাম। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ডোবায় ফেলে তারা জুয়েলের কাছে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য আলামত দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
সর্বশেষ ঈদের আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে মোগলাবাজার থানার হাজীগঞ্জ মুহাম্মদপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে উবার চালক রেদওয়ান রশীদ চৌধুরী সৌরভ (৩০)-এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ৩ দিন আগে তিনি নিখোঁজ হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, উবার চালক সৌরভ হত্যার দায়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই সাথে পুলিশ মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে সৌরভের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রেদওয়ান রশীদ চৌধুরী সৌরভ সিলেট শহরের সোবহানীঘাটে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে উবারের মোটরসাইকেল ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। গত ৩ দিন আগে (১১ মে) মোটরসাইকেলসহ তিনি নিখোঁজ হন। এরপর সম্ভাব্য স্থানে তাকে খোঁজখুজি করে পাওয়া না যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে স্বজনরা ঘটনাটি জানালে পুলিশ সৌরভের মোবাইল ট্র্যাকিং করে দেখতে পারে মুহাম্মদপুর এলাকায় তার মোবাইলের নেটওয়ার্কের অবস্থান। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি ডোবা থেকে সৌরবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, সৌরভের নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে একটি নাম্বার থেকে কল দিয়ে সৌরভের দুলাভাইয়ের কাছে অজ্ঞাত একজন জানায় সৌরব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তার রক্তের প্রয়োজন টাকা লাগবে। তখন সৌরভের স্বজনরা সোবহানিঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ছিলেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে পুলিশ ঐ নাম্বারের অবস্থান ট্র্যাকিং করে হাজীগঞ্জে অবস্থান দেখতে পায়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি ডোবার পাশে প্রথমে সৌরভের হেলমেট পাওয়া যায়। পরে ডোবায় লাশও মিলে।