- মে ১৮, ২০২১
- জাতীয়
- 288
নিউজ ডেস্কঃ আপনি অনেক নিউজ করেছেন অনেক লেখালেখি করেছেন আপনাকে এখন মাটিতে পুঁতে ফেলব। সোমবার (১৭ মে) প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকিয়ে রেখে এভাবে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন জুলি।
সোমবার (১৭ মে) রাতে বোনের সঙ্গে দেখা করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাংবাদিকদের সাবিনা ইয়াসমিন জুলি এসব কথা বলেন।
সাবিনা ইয়াসমিন জুলি বলেন, রোজিনা ইসলাম আমার বড় বোন। আমি প্রথম জানতাম না কি হয়েছে। থানায় এসে আপার সঙ্গে কথা বলে সব শুনেছি। আমার বোন আজ টিকা নিয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ। এখন দেখলাম তার গায়ে অনেক জ্বর। টিকা নেওয়ার পর তিনি সচিবালয়ে যান। সেখানে তার সঙ্গে সোর্সের দেখা হয়। দেখা হওয়ার পর সোর্স আমার বোনকে কিছু ডকুমেন্ট দেয়।
সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তিনি স্বাস্থ্য সচিবের রুমের বাইরে অপেক্ষমাণ কনস্টেবল মিজানের ভেতরে কেউ আছেন কি-না জানতে চাইলে মিজান বলেন, ভেতরে কেউ নেই। আপনি ভেতরে গিয়ে বসেন।
তখন আমার বোন বলেন, আমি ভেতরে যাব না। আমি কিছু তথ্যের জন্য এসেছিলাম। তারপর মিজান বলেন, আপনি রুমের ভেতর বসেন। স্যার এখনি চলে আসবেন। এ কথা বলে মিজান আমার বোনকে রুমের ভেতরে বসায়।
রোজিনা ইসলামের ছোট বোন বলেন, কক্ষে বসে আপা পত্রিকা পড়ছিলেন। ওই সময় কনস্টেবল মিজানসহ আরও কয়েকজন আপার ব্যাগ কেড়ে নেয়। তারা আমার বোনকে হুমকি দিয়ে বলেন, এতদিন অনেক নিউজ ও লেখালেখি করেছেন, আপনাকে মাটির মধ্যে পুঁতে ফেলব। পরে বোনকে ছয়-সাত ঘণ্টা সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
তিনি বলেন, আমার বোন পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে হয়রানি করা হয়েছে। কনস্টেবল মিজানসহ ছয়-সাত জন আপাকে ঘিরে রাখে। মিজান তাকে মারতে গিয়েছিল। পরে তারা আপার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তারা বোনের ব্যাগের মধ্যে কিছু কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
কখন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যাগের ভেতরে কাগজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন জুলি বলেন, এত কিছু আমি বলতে পারব না। যেহেতু আমি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত নই। ব্যাগের মধ্যে কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে তারা বলে, আমরা দেখে নেব।
সাবিনা ইয়াসমিন জুলি আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতের কিছু অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করার পর থেকে বোনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে এখন বোনের শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার বোনের চিকিৎসার প্রয়োজন। তাকে যদি এখন চিকিৎসা দেওয়া না হয় তাহলে বোনের শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। আমরা খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।