• জুন ২১, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 261
‘পঞ্চাশের পাহাড়ে’ অভিযান শুরু, সাতটি স্টোন ক্রাশার বন্ধ করে জরিমানা

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের ‘পঞ্চাশের পাহাড়ের’ টিলা কেটে পাথর উত্তোলন বন্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানের শুরুতে জৈন্তাপুরের সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে সাতটি স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনটি মিলমালিককে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

গতকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৯) সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়। আজ সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়মালার মতোই বাংলাদেশের জৈন্তাপুরের চারিকাটা এলাকায় পাহাড়-টিলা রয়েছে। জৈন্তাপুরের সারীঘাট থেকে চারিকাটা ইউনিয়ন পুরোটা মেঘালয়ের পাহাড়ের মতো একটি বেষ্টনী। পঞ্চাশের পাহাড় নামের ওই বেষ্টনীর আশপাশে রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক টিলা। পঞ্চাশের পাহাড়ের ঢালে পড়েছে ছোট ছোট টিলা। এসব টিলা খুঁড়েই পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এরপর স্টোন ক্রাশার মিলে ভাঙিয়ে পাথরগুঁড়া টাইলস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সরেজমিনে এ পরিস্থিতি দেখে ১৭ জুন একটি পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।

‘পঞ্চাশের পাহাড়’ এলাকা থেকে উত্তোলন করা এসব পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে গুঁড়ো করার জন্য। সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুরের বাংলাবাজার-কাটাগাঙ ও আসমপাড়া এলাকার পাথর ভাঙার কলে
‘পঞ্চাশের পাহাড়’ এলাকা থেকে উত্তোলন করা এসব পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে গুঁড়ো করার জন্য। সম্প্রতি সিলেটের জৈন্তাপুরের বাংলাবাজার-কাটাগাঙ ও আসমপাড়া এলাকার পাথর ভাঙার কলেফাইল ছবি

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, এ সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই পাথর ভাঙার কারণে তিনটি স্টোন ক্রাশার মিলকে ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে সাতটি স্টোন ক্রাশার মিল বন্ধ করে কিছু যন্ত্রপাতি ধ্বংস করা হয়। জৈন্তাপুর ছাড়াও সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে পরিবেশগত ছাড়পত্রহীন পাথর ভাঙার মিল অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে উচ্চ আদালতের। অভিযান চলাকালে এ নির্দেশনা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। আজ দুপুরে তিনি বলেন, পাথর ভাঙার মিলের পরিবেশগত কোনো ছাড়পত্র নেই। ফলে, এটা হাইকোর্টে নির্দেশনার পরিপন্থী। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সীমানাদেয়ালও নেই। এতে পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে এসব এলাকায়। তাই অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে।