- সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
- সিলেট
- 217
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জমি বিক্রির দলিল করে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন মা-মেয়েসহ তিনজন। এসময় ছিনতাইকারীদের হামলায় শারমীন আক্তার জুলফা (২৭), মেয়ে ওয়াসফিয়া নাওয়ার অমী (৯) শারমীন আক্তারের বাবা আব্দুর রহমান (৬০) আহত হয়েছেন। এসময় ছিনতাইকারীরা জমি বিক্রির নগদ চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
আহত শারমীন আক্তার সিলেট শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের হানাপাড়া গ্রামের মো. আবুল খায়ের সুহেলের স্ত্রী। এবং তাঁর বাবা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ছোটদেশ গ্রামের বাসিন্দা।
ছিনতাইয়ের শিকার শারমীনের পরিবারের অভিযোগ মো. আবুল খায়ের সুহেলের সঙ্গে রাজনৈতিক মামলা নিয়ে বিরোধ ছিল সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আশফাক আহমদ এবং তাঁর ভাই মারুফ আহমদের। ওই মামলার জের ধরেই ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরের তালতলা এলাকার সাব রেজিস্ট্রারি কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার শারমীন আক্তার জানান, বিয়ের সময় স্বামীর কাছ থেকে কাবিনে পাওয়া কিছু জায়গা পারিবারিক প্রয়োজনে বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলেট নগরের তালতলা এলাকার সাব রেজিস্ট্রারি কার্যালয়ে যান। সে সময় বড় মেয়ে ও বাবা আব্দুর রহমান সঙ্গে ছিলেন। সাব রেজিস্ট্রারী কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রারী শেষে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে বাবা ও মেয়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হলে পূর্ব থেকেই সেখানে কয়েকজন দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তি আমাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় আমাকে ও আমার বাবাকে মারধর করে জমি বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, হামলা ও ছিনতাইয়ে সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের ভাই মারুফ আহমদের নেতৃত্বে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী অংশ নেন। ছিনতাইকারীরা আমার সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগে নগদ চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। এসময় আমি, আমার বাবা ও মেয়ে বাধা দিলে তাঁরা আমাদের মারধর করে ফেলে রেখে যায়। পরে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
শারমীন আক্তার আরও বলেন, আশফাক আহমদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। আমার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা বিএনপির রাজনীতি করেন। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আশফাক আহমদ ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আমার স্বামী আবুল খায়ের সুহেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলায় তিনি ফেরারি আসামি হয়ে পলাতক রয়েছে। এর মধ্যেই আশফাক আহমদের ভাই মারুফ আহমদ দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন,আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব।