- সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 315
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ভবেরবাজার-নয়াবন্দর-কাঠালখাইড় সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এ সড়ক সংস্কার করার জন্য সাত বছরে চারবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কাজ শেষ হয়নি। এতে খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান লিলু মিয়া জানান, সড়কটি দিয়ে জগন্নাথপুর পৌরসভার একাংশসহ সৈয়দপুর শাহারপাড়া ও আশারকান্দি ইউনিয়নের লাখো মানুষ চলাচল করে। উপজেলা সদর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোয়ালাবাজার যাতায়াত করা যায় এ সড়ক দিয়ে। সড়কের সৈয়দপুর এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে এসব গর্ত পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। আর কত দিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে?
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে এ সড়কের কাজটি পায় সুনামগঞ্জের সজিব রঞ্জন দাসের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিছু কাজ করার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দিলে নির্ধারিত সময়ের পর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদার আইনি লড়াইয়ে নামেন।
২০১৮ সালে আইনি লড়াই শেষে সড়কের কাজে আবারও দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর আগে ১ কিলোমিটার অংশে কাজ হওয়ায় বাকি ১১ কিলোমিটার অংশে ৪ কোটি টাকার কাজটি পায় ঢাকার পদ্মা কনস্ট্রাকশন। ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজ শেষ না করে ফেলে রাখায় আবার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। ঠিকাদারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে নতুন করে গত মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত দরে কাজ নিতে আবেদন করায় পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে কাজ কে পাবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।
আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইমানী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, বারবার সড়কের কাজ আটকে যাচ্ছে। ঠিকাদারদের সড়কের কাজ নিয়ে নৈরাজ্যের কারণে কাজ শেষ হচ্ছে না। কবে শেষ হবে, তা–ও কেউ জানে না।’
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ওই সড়ক দিয়ে তাঁকে প্রতিনিয়ত বাড়িতে যাতায়াত করতে হয়। ঠিকাদারেরা কাজ শেষ না করে চলে যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সাত বছরে চারবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সর্বশেষ, অর্থাৎ চতুর্থবারে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদার নির্বাচন করা হবে। শিগগিরই সড়কের কাজ আবার শুরু হবে।