• সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
  • জাতীয়
  • 258
করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জন। মৃত ৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও ১৪ জন নারী।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮২১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৫টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৮৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চারজন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩১৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮০ হাজার ৩৬২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩৮ হাজার ৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪২ হাজার ২৮১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।