• অক্টোবর ৩, ২০২১
  • লিড নিউস
  • 391
রাতারগুলে পর্যটকবাহী নৌকার মাঝি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিউজ ডেস্কঃ দেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুলে পর্যটকবাহী নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। ওই চক্র দরিদ্র মাঝিদের কষ্টার্জিত অর্থ কখনো পুলিশ আবার কখনো সাংবাদিক ব্যবস্থার নামে আত্মসাৎ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের রামনগর ও বাগবাড়ি গ্রামবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আয়োজকরা। এ ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মতিন, আরমান আলী ও আব্দুল মালিকসহ ২৬ জন নৌকার মাঝি উপস্থিত ছিলেন।

২৬ মাঝির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রশিদ বলেন, রাতারগুল ঘাটে রামনগর ও বাগবাড়ি গ্রামের ২৬ জন মাঝি পর্যটকবাহী নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের ওপর নির্যাতনের খড়গ চালিয়ে যাচ্ছিল রাতারগুল ও দেওয়ানেরগাঁও গ্রামের একটি চাঁদাবাজ চক্র। চক্রের সদস্যরা হলেন- জুবায়ের আহমদ, হারিস মিয়া, আরব আলী, মিনহাজ উদ্দিন, আব্দুল কাদির, আমীর আলীসহ আরও কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে নির্ধারিত নৌকার প্রতি ট্রিপ ৭৫০ টাকা হলেও নৌকার আমরা পাই মাত্র ২০০ টাকা। বাকি ৫৫০টাকা ওই চক্রের সদস্যরা পুলিশ ও সাংবাদিক ম্যানেজের নামে নিজেরাই আত্মসাৎ করে। তাদের এসব কর্মের প্রতিবাদ করায় রামনগর ও বাগবাড়ির নৌকার মাঝিদের এখন আর নৌকাই চালাতে দিচ্ছে না।

রশিদ বলেন, গত চারমাস ধরে নৌকা চালাতে না পেরে ২৬ জন মাঝি আয়হীন মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুধু তাই নয় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিষয়টির সমাধান চেয়েও পাইনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি। বিষয়টির সমাধান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তাদের খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে রাতারগুলে শান্তি এবং পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরপত্তা নিশ্চিতে তিনদফা দাবি ঘোষণা করেন চাঁদাবাজির শিকার মাঝিরা।

দাবিগুলো হলো- রামনগর ও বাগবাড়ির ২৬ জন অসহায় মাঝিকে রাতারগুল ঘাটে নৌকা চালানোর সুযোগ, ফোনে নৌকার ট্রিপ বুকিং নামক প্রতারণা ও স্থায়ীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং ঘাটে একজন নিরপেক্ষ ম্যানেজার নিয়োগ করা। এ দাবি বাস্তবায়ন করতে তারা জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান।