- অক্টোবর ২৭, ২০২১
- লিড নিউস
- 263
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে দক্ষিণ সুরমা কলেজ ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) হত্যাকারী ছাত্রলীগকর্মী সামসুদ্দোহা সাদিকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাহাত হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সাদি।
গোপন তথ্যে পাওয়া খবরে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সাদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর থেকে ভারত পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সাদি দক্ষিণ সুরমার সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকায় সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, সিআইডির একটি টিম সাদিকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অফিসিয়াললি এখনও কিছু জানানো হয়নি। তাদের কাছে মামলার ডকেট পাঠাতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, কলেজ ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে দক্ষিণ সুরমা থানার ৪টি টিম পৃথকভাবে মাঠে অভিযানে রয়েছে।
নিহত রাহাত পুরান তেতলি গ্রামের সুরমান মিয়ার ছেলে ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
২২ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টা ১০ মিনিটের দিকে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম রাফিকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। সেখানে মোবাইল ফোনে বন্ধুদের না পেয়ে সাড়ে ১২টার দিকে কোটিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রধান ফটকের ভেতরে থাকাবস্থায় আরেকটি মোটরসাইকেলে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার সময় অতর্কিতভাবে আরিফুল ইসলাম রাহাতকে উরুতে ছুরিকাঘাত করেন ছাত্রলীগের কর্মী সামসুদ্দোহা সাদি ও তার সহযোগীরা। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাহাতও ছাত্রলীগেরকর্মী ছিলেন।
ঘটনার একদিন পর শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাদিসহ ৩ জনের নামোল্লেখ অজ্ঞাত ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তানভির এবং আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানির নাম।
ঘটনার পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিলেট ত্যাগ করা প্রধান অভিযুক্ত সামসুদ্দোহা সাদি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ফিলিপনগর ইউনিয়নে পাশেই একটি নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনাকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, রাহাত হত্যায় পলাতক সাদিসহ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন ও মানববন্ধন করেন কলেজ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।