- নভেম্বর ৭, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 260
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কুলাউড়ার ট্রেনচালকদের নিয়ে চারটি সংগঠন এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি, রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল, রেলওয়ে গেট কিপার ঐক্য পরিষদের সদস্য সিলেট ও কুলাউড়রা রেলওয়ে জংশনের ট্রেনচালক শ্রমিক-কর্মচারী সমিতি।
একই দাবিতে ২ নভেম্বর সিলেট রেলস্টেশনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। আজ বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রেলস্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে ও কার্যকরী কমিটির সদস্য পরিতোষ ধরের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সিলেট শাখার সহসভাপতি সজীব মালাকার, রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল কুলাউড়া শাখার সম্পাদক আবদুল লতিফ, রেলওয়ে গেট কিপার ঐক্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
ট্রেনচালক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার সফটওয়্যার (আইবাস প্লাস) সিস্টেমে মাইলেজ নিয়ে জটিলতার বিষয়ে বক্তারা বলেন, এ জটিলতা নিরসনে মাইলেজের কোড বাদ দিয়ে রেলওয়ের জন্মলগ্ন থেকে ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে যেভাবে বেতন খাত থেকে মাইলেজ ভাতা দেওয়া হতো, তা পুনর্বহাল করলেই ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা পাবে।
রেলওয়ের যাত্রাকাল থেকে রেলওয়ের কোডের বিধান অনুযায়ী, ৮ ঘণ্টা কাজের জন্য বা প্রতি ১০০ মাইল ট্রেন চালালে ১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অতিরিক্ত মাইলেজ (ভাতা) দেওয়া হয়। এ হিসাবে ৬ থেকে ৮ হাজার মাইল ট্রেন চালালে মাসিক বেতনের সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ দিনের মাইলেজ (ভাতা) দেওয়া হতো। কিন্তু আইবাস প্লাস সিস্টেমে (বেতন হিসাবের সফটওয়্যার) মাসে ৩০ দিনের বেশি মাইলেজের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে ট্রেনচালকেরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে ট্রেন চালালেও প্রাপ্য মাইলেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাইলেজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অবিলম্বে নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বকেয়া টিএডিএ পরিশোধ, বেতন, বোনাস, পেনশন খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, পদোন্নতি ও প্রকল্পের আওতাধীন অস্থায়ীভাবে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন দিয়ে চাকরি স্থায়ী করতে হবে।