- নভেম্বর ১০, ২০২১
- লিড নিউস
- 252
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-সুনামগঞ্জ ও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চারটি সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তবে দাবি পূরণ হওয়ার আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি।
তবে এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি ২১ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। গতকাল রাত নয়টায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এ স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ২০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের মামলা প্রত্যাহার, সাধারণ শ্রমিকদের ওপর সিলেটের ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, শেরপুর সেতু, শেওলা সেতু, লামাকাজি সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু, ছয়হারা সেতু, শাহপরান সেতুর টোল আদায় ও ইজারা বন্ধ, বিভিন্ন পৌরসভার নামে সব ধরনের টোল আদায় বন্ধ ও সিলেটের চৌহাট্টাসহ বিভিন্ন স্থানে কার-মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সরকার স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন, সিলেট জেলা অটোটেম্পু–অটোরিকশাচালক শ্রমিক জোটের সভাপতি খলিল খান, কার্যকরী সভাপতি মতচ্ছির আলী প্রমুখ উপস্থতি ছিলেন।
এর আগে ১ নভেম্বর সিলেটের ৪টি সেতুর টোল আদায় বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে ৯ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছিল সিলেট জেলা ট্রাক–পিকআপ–কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই সংগঠনেরও সভাপতি আবু সরকার।
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে একই দিনে আরেক সংগঠনের মাধ্যমে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আহ্বান করা ধর্মঘটে সেতুর অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি ছিল। তবে ফেডারেশনের দাবির মধ্যে নতুন কিছু দাবি আছে। এগুলো পূরণের আশ্বাস পেলে ২১ নভেম্বরের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
সেতুর টোল আদায় প্রসঙ্গে সিলেট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেতুগুলোতে টোল আদায়ের নির্দিষ্ট একটি তালিকা রয়েছে। নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ টোল আদায় করে থাকে। এ তালিকার বাইরে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সুযোগ নেই। অতিরিক্ত টোল আদায় করা হলে সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু টোল আদায় পুরোপুরি বন্ধ করার এখতিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নেই বলে জানান তিনি।