- ডিসেম্বর ১, ২০২১
- লিড নিউস
- 282
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার কোনো আরটি–পিসিআর ল্যাবরেটরি নেই। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। বিমানবন্দরে ল্যাব না থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সিলেটের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর সরাসরি কোনো ফ্লাইট চালু নেই জানিয়ে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরও বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁদের আফ্রিকার কোনো দেশে যাতায়াত আছে কি না, সে বিষয়ও যাচাই করা হচ্ছে। অমিক্রন ঠেকাতে সতর্কতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে বিদেশ যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি–পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেই কার্যক্রম বর্তমানে জায়গা নির্ধারণ পর্যায়েই রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দল জায়গা নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে কবে নাগাদ করোনা পরীক্ষার যন্ত্র সিলেট বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।
সিলেট বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘সিলেটের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। অমিক্রন ঠেকাতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে সহযোগিতা করছি। তৃতীয় কোনো দেশ থেকে আফ্রিকায় ভ্রমণ করা কোনো যাত্রী দেশে আসলে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সহযোগিতা করব।’
সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, অমিক্রন ঠেকাতে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সিলেটে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন সঙ্গনিরোধসহ সব নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। যদিও সিলেটের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। কিন্তু তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে সিলেটে আসছেন কি না, সেটি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্যবিষয়ক দলের তত্ত্বাবধায়ক এবং সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহমদ সিরাজুম মুনির বলেন, বিমানবন্দরে করোনা ল্যাবরেটরি নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলেই পরীক্ষাগার স্থাপন করতে পারবে না। এখানে কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে। ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে সে–সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই বিমানবন্দরে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘দুই মাসে আফ্রিকা থেকে ২৪০ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। কিন্তু ওই সব যাত্রীর কোনো তথ্য সিভিল অ্যাভিয়েশনের কাছে নেই। এমন অবস্থার মধ্যে আমরা যাচ্ছি। অমিক্রন দেশে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ ও হিস্ট্রি দেখে নতুন ধরন কি না, সেটি জানা যাবে।’