- ডিসেম্বর ১, ২০২১
- জাতীয়
- 276
নিউজ ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে যতগুলো ভোট পড়েছে তার সবগুলোই পেয়েছেন একজন প্রার্থী। ওই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাকি ছয় প্রার্থী নিজের ভোটটিও পাননি!
প্রার্থীদের প্রশ্ন, তাদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী-সমর্থক এবং এজেন্টদের কেউই কি তাদের ভোট দেননি? এমনকি তাদের নিজের দেওয়া ভোটটি গেল কোথায়? এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত রোববার (২৮ নভেম্বর) তৃতীয় ধাপে মানিকপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডে মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শুধু ইউপি সদস্য পদেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শূন্য ভোট পাওয়া ছয় মেম্বার প্রার্থী হলেন—ভ্যানগাড়ি প্রতীকের কাউসার মিয়া, ঘুড়ি প্রতীকের মোতালিব মিয়া, আপেল প্রতীকের মো. আলমগীর, তালা প্রতীকের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ফুটবল প্রতীকের মো. মিস্টার আলী এবং মোরগ প্রতীকের সফিকুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে সংগৃহীত ফলাফলে দেখা গেছে, মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২,১৬৩। এর মধ্যে ১১৬১ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়টি ভোট বাতিল হয়েছে। বাকি ১১৫৫ ভোট বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী হাসান মিয়া পেয়েছেন বলে ফলাফল শিটে উল্লেখ করা হয়। একই ওয়ার্ড থেকে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বাকি ছয়জনের ঘরে কোনো ভোট দেখানো হয়নি।
মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সফিকুল ইসলাম বলেন, অন্যদের ভোটের হিসাব বাদ দিলাম। আমি কেন্দ্রে গিয়ে নিজের প্রতীকে ভোট দিয়েছি। অথচ আমার ভোটটি শূন্য দেখালো!
ওই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হুসাইন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, আমরা ভোটারদের লাইনে দাঁড় করিয়ে বৈধ পন্থায় ভোট নিয়েছি এবং ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটের ফলাফল কীভাবে এমন হলো, সেটা আমরা কীভাবে বলবো?
প্রার্থীর নিজের ভোট গেল কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থী নিজেরে নিজে ভোট না দিলে আমরা কী করবো বলেন তো। আমরা তো চাইয়া রইছি না কে কারে ভোট দিছে না দিছে!