- ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
- শীর্ষ খবর
- 296
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে শুরু হলো ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এই টিকাদান কর্মসূচি।
সোমবার সিলেট নগরীর চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন সিলেট নগরীর চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬০০ শিক্ষার্থী টিকা পাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলায় আগামী শনি ও রোববার থেকে টিকাদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভাগের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর।
তিনি জানান, শুধু সিলেট জেলা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ১৭ ডিজিটে নেই তারাও বিশেষ বিবেচনায় টিকা নিতে পারবে। তবে টিকার সনদ পেতে গেলে পরবর্তীতে ১৭ ডিজিটের নিবন্ধন আপডেট করতে হবে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পর্যায়ক্রমে তালিকায় থাকা সবাই টিকা পাবে। প্রথম দিন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয় বুথে টিকা দেওয়া হবে। এর আগে বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকে সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গত ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিকের স্কুল শিক্ষার্থীদের তথ্য চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১২-১৭ বছরের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ লাখের তথ্য পাঠানো হয়।
এর মধ্যে সিলেট জেলা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়।
সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তথ্য পাঠালেও এসব শিক্ষার্থীকে তখন ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এজন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। কিন্তু সিলেটের স্কুলগুলোতে এই ব্যবস্থা না থাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার গতি পায়নি। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে গিয়েও সমস্যায় পড়ে। কেননা, অনেক শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদই অনলাইনে ছিল না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী সোমবার সিলেট নগরের চারটি প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া জন্মনিবন্ধন সনদের বাধ্যবাধকতাও এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। এ চারটি স্কুলে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, একটি বুথে প্রত্যহ ৩০০ জন টিকা দিতে পারবে। এভাবে ৪টি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ৩০০ জন করে টিকা দিতে পারবে।
সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় দিতে হয়। বেশিরভাগ স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ নেই। আপাতত মহানগরীর চারটি স্কুলে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। অন্যান্য স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে সেগুলোতেও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।