- জানুয়ারি ৩, ২০২২
- শিক্ষাঙ্গন
- 425
শাবি প্রতিনিধিঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৬০ জন শিক্ষার্থী। শাবিপ্রবি থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন যারা
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই তিন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট দুই হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া নবায়ন ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন ৪২ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে শাবিপ্রবি থেকে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৭ জন, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৯ জন এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ৬০ শিক্ষার্থী ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- নওশের জাহান পারভেজ, মো. আব্দুল কাদির, তুহেদা সুলতানা, সাজেদা বেগম, পরমা সাহা, মো. সালাহউদ্দিন, সামিরা শাহরিন, সুজন শর্মা, নীলিমা রাণী নাথ, মো. রাফিদ হাসান, বনশ্রী সরকার মৌ, মো. রাকিব হোসেন, ইয়াসির সরকার ও সাদিকুল ইসলাম।
রসায়ন বিভাগ যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- মুনিরা সিদ্দীকা, ফারজানা শিমি, দীপ্ত দাস, মো. হাসিবুল হোসেন, মো. আকরাম হোসাইন ও মো. সোহাগ হোসেন ভূঁইয়া।
পরিসংখ্যান বিভাগ যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- শাহনাজ সুলতানা সাথী, আনিসা আহমেদ চৌধুরী, আনিকা আনজুম, উম্মে ফাতেমা ঊর্মি ও তানভীর আহম্মেদ। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তানভীর আলম মুন্সি মনোনীত হয়েছেন।
তবে নবায়নকৃতদের মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে রয়েছেন শুধু পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বকুল কুমার চক্রবর্তী।
অন্যদিকে জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- জাহিদুল ইসলাম, অনিক সাহা ও তানভীরুন্নেসা হাফসা।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- পূজা রায়, সীমান্ত দেব, সামিয়া সুলতানা মুনশা, মালিহা জাহান, মো. ফাইজ উল্লাহ পিয়াস ও মো. মাহফুজুর রহমান।
এ ছাড়া খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- তানজিনা খাতুন তুলি, মো. আহসান হাবিব আদর, রাহুল সরকার, মোহাম্মদ মাজেদ, মো. মারুফ হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাবিয়া তাসনিম আনিকা, উম্মে সালমা, নবনীতা কর্মকার, সোলাইমান সরকার, বিপ্লব দে, হোসেন মাহমুদ সাম্মি, নুসরাত জাহান, নাজিফা তাসনিম, মো. সাইফুল হক, আল-আরাফাত হোসেন আরমান, রাফিয়া তাসনিয়া অমি, মো. আরিফুল ইসলাম, সিলমুন ইসলাম, শঙ্করী রাণী শর্মা ও মুনিয়া জাহান।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- মারওয়া রহমান ও নাজমুল ইসলাম। এ ছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে সানজিদা আক্তার মনোনীত হয়েছেন।
ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি এমএস শিক্ষার্থী ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়।