- জানুয়ারি ২১, ২০২২
- লিড নিউস
- 378
নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির সাথে আলোচনা করতে ঢাকায় যাচ্ছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে তাদের ৫জন প্রতিনিধি সন্ধ্যায় ঢাকায় রওয়ানা দিবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিনিধিরা আলোচনায় গেলেও অনশন চলবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
শুকবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপুমনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। মোবাইল ফোনের লাউড স্পিকারে তাদের আলাপকালে গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি শিক্ষার্থীদের বলেন, আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা ভালো থাকবে। তাদের যেনো কষ্ট না হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও ঠিক থাকবে। আপনারও ওখানে কষ্ট করছেন এটা দেখছি, অন্য সমস্যা হচ্ছেও, সেটাও দেখছি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের ব্যাপার আছে। আমরা তাতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে শিক্ষার্থীরাও কষ্ট পাবেন এটাও চাই না।
ফোনে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, সব সমস্যারই একটা সমাধান আছে। এই সমস্যারও নিশচয়ই সমাধান আছে। তবে আলোচনার মাধ্যমেই সেই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৪/৫জনের যদি আসেন, শিক্ষক সমিতির নেতারা যদি আসেন তবে আমরা আলাপ করে একটা সমাধানে পৌছতেও পারবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে আসবেন, পরে নিজেদের মধ্যে যেনো ঝামেলা না হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলাপকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাদিয়া আফরিন বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলােচনায় আগ্রহী। আজ সন্ধ্যার আগেই আমাদের ৫জন প্রতিনিধি ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যাবেন। আমরা আলোচনা করে কিছুক্ষণের মধ্যে ৫জন প্রতিনিধি ঠিক করবো। আশা করছি, মন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় গেলেও আমাদের অনশন যথারীতি চলবে।
এরআগে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন নেতা।। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার পরই আওয়ামী লীগ নেতারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের বাসবভনে তার সাথে আলাপের জন্য যান।
এসময় শফিউল আলেম নাদেল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, এভাবে অচলাবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। আমাদের সন্তানদের এই কষ্ট আমরা মেনে নিতে পারছি না।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা নিয়ে এখানে এসেছি। দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবো।
উপাচার্যও আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান নাদেল।
আওয়ামী লীগ নেতারা উপাচার্যের বাসভবনে আলাপ করে ফিরে আসার পর বিকেলে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ শফিউল আলম চৌধুরীর মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার বলেন, আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবি আদায় না হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না। প্রয়োজনে আমরা মারা যাবো।
এদিকে অনশনকারীদের মধ্যে অসুস্থের সংখ্যা বাড়ছে। বেলঅ ৩টা পর্যন্ত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপাচার্য ভবনের সামনে অনশনে থাকা বাকী সবার হাতেও স্যালাইন চলছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও সেখানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ডায়াবেটিকস থাকায় তাদের একজনের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে।