• এপ্রিল ১১, ২০২২
  • লিড নিউস
  • 252
সিলেটে খুলেছে মাংসের দোকান, ধর্মঘট প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় গরু ও খাসির মাংসের দাম বাড়ানোর দাবিতে ডাকা ধর্মঘট চার দিন পর প্রত্যাহার ঘোষণা দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকাল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় দোকানপাট খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন তাঁরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলোর সঙ্গে মাংসের দাম সামঞ্জস্য রাখার দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালিক বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকায় মাংসের দাম বাড়লেও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় দাম বাড়ানো হয়নি। এতে পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও দাম সামঞ্জস্য রাখার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ব্যবসা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করা হয়েছিল। পরে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিক আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিটি করপোরেশনের মেয়র কিংবা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁরা যদি দাবি-দাওয়া না দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন করে বসেন, এতে সিটি করপোরেশনের কিছুই করার নেই। তবে বিষয়টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীরা চাইলে মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগর এলাকায় গরুর মাংস ৬০০ ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীরা যে দামে গরু, খাসি কিংবা ছাগল কেনেন, তাতে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামে বিক্রয় করলে লোকসান গুনতে হবে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অবহিত করা হলেও দেখবেন বলে জানান তিনি। পরে আর কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।

সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজারের বিসমিল্লাহ মিট হাউসের ব্যবসায়ী মো. ফরিদ আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে গরু ও খাসির মাংসের দাম সামঞ্জস্য রাখার দাবিতে ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আপাতত আগের দরে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।