- এপ্রিল ২৬, ২০২২
- শীর্ষ খবর
- 350
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার তরুণীর (১৯) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। মেয়েটির চিকিৎসায় সব ব্যয়ভার বহনসহ তার পরিবারকে সবধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
এর আগে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে বখাটেরা। এ ঘটনার ছয় দিন পর ছয় বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মেয়েটির স্তন ও হাতের বিভিন্ন স্থানে কেটে যাওয়ায় অন্তত ৫০টি সেলাই লেগেছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ইউএনও মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মেয়েটির চিকিৎসার সব ব্যয় উপজেলা প্রশাসন বহন করবে। এছাড়া তার পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এসেছি।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার মেয়েটি মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৯ এপ্রিল রাতে মেয়েটি তার বসতঘর থেকে বের হয়ে টিউবওয়েলে যায়। এ সময় কয়েকজন তরুণ তার হাত, স্তন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিলেটে পাঠিয়ে দেন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া। এ ঘটনার ছয়দিন পর গতকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।