- মে ৮, ২০২২
- জাতীয়
- 247
নিউজ ডেস্কঃ টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণের ঘটনায় জড়িতরা যে রেলমন্ত্রীর আত্মীয়, তা তিনি জানতেন না। গণমাধ্যম থেকে ফোন করার পর জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রোববার (০৮ মে) দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী জানান, গতকাল পর্যন্ত তিনি জানতেন না তারা তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়। তিনি পরে জানতে পেরেছেন। তবে তার স্ত্রী শুধু অভিযোগ করেছেন, কাউকে বরখাস্ত করতে বলেননি।
গত ৫ মে রাতে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ওঠা তিন যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য জরিমানা করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। টিকিট ছাড়াই পাবনা থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে উঠে এসি কামরায় বসেছিলেন ওই তিন যাত্রী। তখন টিটিই বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য তাঁদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন। তখন তাঁদের এসি কামরাও ছাড়তে হয়।
ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নিকটাত্মীয়। শুক্রবার টিটিইকে বরখাস্ত করার খবর প্রকাশের পর নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। শনিবার রেলমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, কারা তাঁর আত্মীয় পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর মামাতো বোন ও ওই তিন যাত্রীর একজন মো. ইমরুল কায়েসের মা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘ঘটনার পর রেলমন্ত্রী আমাদের চেনেন না বলায় কষ্ট পেয়েছিলাম। পরে তিনি (রেলমন্ত্রী) নিজেই ফোন দিয়ে বলেছেন, ‘আপা, আমি যা বলেছি, এতে মন খারাপ করবেন না। ’
যদিও রোববার সাংবাদিকদের কাছে সেই ফোনালাপ ডাহা মিথ্যা বলে দাবি করেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওনার কথা হয়েছে, এই কথাগুলো ডাহা মিথ্যা। তার সঙ্গে আমার টেলিফোনে কোনো কথাই হয় নাই। ’
টিটিইর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। টিটিইর বহিষ্কারাদেশটি ‘সঠিক হয়নি’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রেলের সেবায় অসন্তুষ্ট হলে সাধারণ যাত্রী ও তার পরিবার হিসেবে অভিযোগ জানাতে পারে। কিন্তু মন্ত্রীর বউ হিসেবে অভিযোগ জানাতে পারে না। এ জায়গাটায় কিছু ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি। ’
অভিযোগের বিষয়ে স্ত্রীর সাথে কোনো কথা হয়নি বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব স্বচ্ছভাবে আমি পালনের চেষ্টা করেছি। এই ঘটনায় আমি বিব্রত। ’