• মে ৩১, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 272
সারা দিনের ভোগান্তির পর হবিগঞ্জে বাস চলাচল শুরু

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা চলে। সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ শ্রমিকরা অংশ নেয়ায় হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা-সিলেটসহ সারা দেশের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকে।’ যাত্রীদের সারা দিনের দুর্ভোগ শেষে হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে বাস চলাচল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মাধবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রী নিয়ে ছুটে যায় বাসগুলো।

জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র শঙ্ক রায় বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা চলে। সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ শ্রমিকরা অংশ নেয়ায় হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা-সিলেটসহ সারা দেশের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকে।

‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে সভা শেষ হলে শ্রমিকরা পৌর বাস টার্মিনালে আসেন। এরপর থেকে কিছু বাস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৭টা কিংবা সাড়ে ৭টার দিকে পুরোপুরিভাবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।’

জেলা শহর থেকে সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় দিনভর দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীকে বাস টার্মিনালে এসে ফিরে যেতে হয়।

জরুরি কাজে বিকল্প পরিবহন হিসেবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা অন্য কোনো মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে যাত্রীদের গুণতে হয় বাড়তি ভাড়া। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হুট করে গণপরিবহণ বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।

নবীগঞ্জের ইমামবাড়ি এলাকার রিপন মিয়া বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে শ্রীমঙ্গল যাব। বাস টার্মিনালে এসে দেখি কোনো গাড়ি চলছে না। এখন কীভাবে যাব সেটা বুঝতে পারছি না।’

ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়েন আরিফুল চৌধুরী। তিনি তার বাবাকে নিয়ে ঢাকা যেতে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘কাল সকাল থেকে আমার এক্সাম। আজ যেতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো পরিবহণ না চলার কারণে কীভাবে যাব বুঝতে পারছি না। অন্য কোনো গাড়িও পাচ্ছি না।’

আব্দুল মোতালিব নামে এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আমি মাধবপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। নাইট ডিউটি আছে। গাড়ি না চলায় যেতে পারছি না। দুই ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য বসে আছি। ঠিক সময় অফিসে যেতে না পারলে চাকরি থাকবে না।’

জেলা যাত্রী কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘এভাবে হুট করে বাস বন্ধ রাখার কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মালিক-শ্রমিক নেতারা দাবি করছেন, তারা নাকি গতকাল একটি পত্রিকায় বা ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু এভাবে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বা ফেসবুকে স্ট্যাটাসেরর মাধ্যমে অবগত করলে হবে না। কারণ একটিমাত্র পত্রিকার মাধ্যমে সবাই বিষয়টি জানতে পারবে না।

‘সভা বা অনুষ্ঠান হতেই পারে। তাই বলে এভাবে গণহারে বাস বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। কিছু গাড়ি অন্তত চলাচল করা উচিত ছিল। তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।