• জুন ৬, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 208
কানাইঘাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হরিণ জবাই করে খাওয়ার অভিযোগ

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হরিণ জবাই করে খাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।

শুক্রবার (০৩ জুন) রাতে ওই চেয়ারম্যানের বাড়ির বাংলোতে হরিণটি জবাই করে খাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মুলাগুল বন থেকে লোকালয়ে চলে আসা একটি হরিণ ধরে পা বাঁধা অবস্থায় ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছাড়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও দাবি ওঠে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের বাজেখেল এলাকায় গ্রাম পুলিশ মাসুক, সুহেল, ইফজাল লোভাছড়া নদীর পার থেকে হরিণটি ধরে লাঠিতে পা বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে রুবেলের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গ্রাম পুলিশ মাসুকের মাধ্যমে হরিণটি নেওয়া হয়। কতিপয় লোকজন মাসুকের কাছ থেকে নিয়ে হরিণটি জবাইয়ের চেষ্টা করেন। সেখানে লোকজন জড়ো হলে জবাই না করে সাবেক চেয়ারম্যান শমসের আলমের পরামর্শে স্পিড বোটে করে বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে নেওয়া হয়।

লোকজন জানান, হরিণ আটক করা যুবকদের আইনের ভীতি দেখিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান শমসের আলমে ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন হরিণটি লোক মারফত নিয়ে আসেন। ওইদিন শমসের আলম ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিনের স্পিডবোটে করে হরিণটি তার বাড়িতে নিয়ে যান। শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যানের বাড়ির বাংলোতে হরিণটি জবাই করে খাওয়ার অভিযোগ উঠে।

স্থানীয়রা বলেন, হরিণ আটকের ঘটনাটি বন বিভাগের গার্ড দেখলেও ছেড়ে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেননি।

এ ব্যাপারে বন বিট কর্মকর্তা জয়নুল ইসলাম বলেন, তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটি আটকের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি। তবে কোথায় হরিণটি জবাই করে খাওয়া হয়েছে, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার (৪ জুন) বিকেলে বিট কর্মকর্তাকে আটক হরিণটি উদ্ধার ও বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন বলেন, কিছু কতিপয় লোক ফেসবুক আইডি থেকে হরিণ শিকার নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে শুনেছেন, গত শুক্রবার একটি হরিণ লোকালয়ে এলে বাজেখেল গ্রামের কিছু লোকজন হরিণটি শিকার করেন। এরপর জেনেছি হরিণটি বাঁধা অবস্থা ছুটে চলে গেছে।

সাবেক চেয়ারম্যান শমসের আলম বলেন, গত নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করায় হরিণ শিকার নিয়ে কতিপয় লোকজন ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার বাড়িতে হরিণ জবাই করে খাওয়ার সত্য নয়।