• জুন ১৬, ২০২২
  • লিড নিউস
  • 222
সিলেট নগরীতে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ এক মাসের মাথায় ফের বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট মহানগরী। গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যাকবলিত হয়েছেন সিলেট মহানগরীর প্রায় ৫০টি এলাকার বাসিন্দা। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি। এতে দ্বিতীয়বারের ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর লাখো পানিবন্দী মানুষ।

এ অবস্থায় সিলেট মহানগরীতে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এসময় মেয়র আরিফ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সিলেট মহানগরীতে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখনও অনেকেই নিজেদের আসবাব-পত্র রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছেন না। তবে বন্যাকবলিত সবাইকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমরা শহরের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের চাহিদা জেলা প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কিছুক্ষণ পরে জানাবেন। আপাতত সিটি করপোরেশনের কাছে যা আছে তাই নিয়ে বন্যর্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসা মানুষজনকে রাত থেকে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হবে।

এর আগে বুধবার বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র উদ্যোগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। এছাড়া যেসব উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় সরাসরি আসতে পারেননি তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জানা গেছে, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নগরীর ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, শামীমাবাদ, ডহর, তালতলা, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, তেররতন, হবিনন্দি, সাদিপুর, বোরহানবাগ, শিবগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমার কদমতলিসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার অনেক বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পরিবার।

সিসিক সূত্র জানায়, বন্যা দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতে এখনও বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতি হলে সিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।