- জুন ১৭, ২০২২
- লিড নিউস
- 288
নিউজ ডেস্কঃ ভারী বর্ষণ ও সুরমার পানি বৃদ্ধি পাওয়া ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র। আরো ৩ ইঞ্চি পরিমাণ পানি বাড়লে বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাবে।
এতে পুরো সিলেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুরক্ষা দিতে সেনাবাহিনী বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করেছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে রাতেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ডুবে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটে বিদ্যুতের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, কুমারগাঁও গ্রিড এখনো ঠিক আছে। রাতে হয়তো বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যেতে পারবো। তবে সন্ধ্যায় কিছু কাজ করার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলির রহমান বলেন, আশার কথা হচ্ছে ঘণ্টাখানেক ধরে পানি বাড়েনি, স্থির রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে অন্তত গ্রিডের আওতাধীন নগরীসহ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা যাবে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলে সাটডাউনে যেতে হতে পারে।
তিনি বলেন, সিলেটের আওতাধীন ৪টি ডিভিশন, দক্ষিণ সুরমা, সুনামগঞ্জ, ছাতক, দিরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় পিডিবির আওতাধীন প্রায় ২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট সূত্র জানায়, সিলেটে পিডিবি’র ৪টি ডিভিশন এবং সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দিরাই মিলে ৩ লক্ষাধিক গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ডিভিশন-১ এর ৭০ হাজার, ডিভিশন-২ এ ৬০, ডিভিশন-৩ এ ৪০ ও ডিভিশন-৪ এর ৪৫ হাজার গ্রাহক ব্যতিরেকেও সুনামগঞ্জে ৩০ হাজার, ছাতকে ৩৫ হাজার, দিরাইয়ে ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গ্রিড স্টেশনটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো সিলেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
শুক্রবার (১৭ জুন) সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ভেতরে পানি ঢুকেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়। এদিন বেলা ২টার পর সেনাবাহিনী বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করে বালুর বস্তা ফেলে গ্রিড উপকেন্দ্রটি বন্যার পানি থেকে সুরক্ষা দেয়াল তৈরি করে দেয়। এরপর সিটি করপোরেশন মেশিন লাগিয়ে পানি বাইরে ফেলে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলে তা আর সম্ভব নাও হতে পারে।
এর আগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি সাব-স্টেশন বন্যার পানি উঠায় বিদ্যুৎহীন রয়েছে এলাকার অর্ধলক্ষাধিক গ্রাহক। এছাড়া নগরের উপশহর এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।