- জুন ২৯, ২০২২
- লিড নিউস
- 280
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে চলমান বন্যার পানি এখনও পুরো নামেনি। এখনও প্লাবিত জেলার বেশির ভাগ এলাকা। তবে কয়েক দিন ধরেই পানি কমতে শুরু করে। আর বুধবার এসে ফের বাড়ছে পানি। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সিলেটে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার বেড়েছে। বেড়েছে লোভা নদীর পানিও।
মঙ্গলবার রাতের ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরের বেশির ভাগ এলাকা। উপশহর, তালতালা, মির্জাজাঙ্গালসহ কিছু এলাকার ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। এতে ফের দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব এলাকার বাসিন্দাদের। পানি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে অনেকের। তবে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের পানি কিছুটা কমেছে।
নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা মাসুক আমিন বলেন, ‘মঙ্গলবার আতঙ্কে আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। রাত জেগে পানি পাহারা দিয়েছি। রাতে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘টানা ১০ দিন পর মাত্র দুদিন আগে ঘর থেকে পানি নেমেছে। এখন আবার ঘরে পানি উঠলে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না।’
জামতলা এলাকার বাসিন্দা সাগর চৌধুরীর বলেন, ‘বারবার এভাবে পানি ঢুকে পড়ছে। আমরা কী করব, কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না।’তবে বুধবার সকালে ঘর থেকে পানি নেমেছে বলে জানান তিনি।
বাসাবাড়ির পাশাপাশি পানি ঢুকে পড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও। এক মাসে তিনবার দোকানে পানি ঢোকার কথা জানান ব্যবসায়ী নিলাঞ্জন দাশ টুকু। তিনি বলেন, ‘৮-৯ দিন পর গত সোমবার দোকান থেকে পানি নেমেছিল। গত রাতে আবার ঢুকে পড়ে। এক মাসে এই তিনবার পানি ঢুকল।’
টুকু বলেন, ‘কান্না করা ছাড়া এখন আর কিছুই করার নেই আসলে। কারও কাছে তো অভিযোগ জানানোরও নেই। আমাদের যে কী ক্ষতি হচ্ছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ‘সিলেটের পাশাপাশি উজানেও বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ছে।’
নদী, ড্রেন ও ছড়া পানিতে ভরাট হয়ে পড়ায় অল্প বৃষ্টিতেই নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘সব জলাধার পানিতে টুইটম্বুর। নদী পানি টানতে পারছে না। ফলে বৃষ্টির পানি নামার জায়গা পাচ্ছে না। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই মঙ্গলবার নগরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে গেছে।’