- জুলাই ২৭, ২০২২
- লিড নিউস
- 271
নিউজ ডেস্কঃ ছিনতাই করতেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, হত্যার ঘটনায় বুলবুলের কথিত প্রেমিকার সম্পৃক্তাতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন।
জালালবাদ থানায় বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেন কামরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে আবুল হোসেন ও মো. হাসান ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি টিলাগাঁও এলাকায়।
ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলা এলাকা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় বুলবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ২২ বছরের বুলবুল লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি নরসিংদীতে। তাকে হত্যার ঘটনায় ওই দিন মধ্যরাতেই অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মামলার পর পুলিশ জিজ্ঞসাবাদের জন্য তিনজনকে আটকের কথা জানায়। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশে অপারগতা জানানো হয়।
যেভাবে গ্রেপ্তার ৩ জন
পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে টিলাগাঁও এলাকার আবুল হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার কামরুল আহমদ ও মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা জানায়।
‘হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের খোঁয়া যাওয়া ফোনের বিষয়ে কামরুল জানায়, ওই ফোন ও অস্ত্র তার বাসায় আছে। তখন তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। তার ঘরের সিলিংয়ের পশ্চিম দিক থেকে বুলবুলের অপ্পো মডেলের ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘরের দক্ষিণ দিকের সানশেডের এক কোণা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ।’