- জুলাই ৩১, ২০২২
- শীর্ষ খবর
- 230
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩ দশমিক ৪০ পয়সা ইউনিটে বিদ্যুৎ দিয়েছিল। সেই বিদ্যুতের দাম এখন ১২ টাকা ৪০ পয়সা। এরপরও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। চার গুণ মূল্যবৃদ্ধির পরেও কেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, কেন লোডশেডিং হয়? এর মূলে হচ্ছে দুর্নীতি। সরকারের মদদপুষ্ট ২২০টি পরিবার দেশে লুটপাট করেছে। এর বিচার একদিন হবে।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘৫০ বছর আগে দেশ স্বাধীন হয়েছিল দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে। তা হলো গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু গণতন্ত্র এখন কোথায়? কেন মানুষ ভোট দিতে পারে না? কেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই? আওয়ামী লীগ বলে, বিদ্যুৎ দিয়ে নাকি দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। আর তারা নাকি ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তাই যদি সত্যি হয়, তাহলে তো দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকার কথা নয়। এখন কেন লোডশেডিং করতে হয়?
অন্য বক্তারা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে সংকট সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে ৩২ ট্রিলিয়ন থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে। সরকার ইচ্ছা করে গ্যাস তুলছে না। কারণ, গ্যাস আমদানি করে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করতে চায়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন খুবই ভয়াবহ। দেশে ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আওয়ামী লীগ লুটপাট করে দেশকে শেষ করে দিয়েছে।