- আগস্ট ১, ২০২২
- শীর্ষ খবর
- 190
নিউজ ডেস্কঃ একজনের পরিবারে বিয়ের কথা চলছে, কিন্তু সে বিয়ে করবে না। আরেকজন মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলো মোবাইল কেনার টাকার জন্য, কিন্তু মা টাকা না দিয়ে মারধর করেছেন। তাই দুই বান্ধবী একসঙ্গে ‘অভিমান করে’ পালিয়ে গেলেন বাড়ি থেকে। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় ১১ দিন পর সুনামগঞ্জের ওই দুই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত সোমা আক্তার শাহজাদী (২২) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং লায়লা সোবহান ঝিলিক সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশগাঁওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও পলাশ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসসি পরীক্ষার্থী ঝিলিক জানায়, সে মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলো। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে মারধর করায় সে মায়ের সাথে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সঙ্গে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যায়।
অপরদিকে কলেজছাত্রী সোমা আক্তার শাহজাদী তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে সে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সোমা পুলিশকে জানায়- সে এখন বিয়ে করতে চায় না, লেখাপড়া করতে চায়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
তারা দুজন নিখোঁজের পর দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় জিডি করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২১ জুলাই সকালে লায়লা সোবাহান ঝিলিক ও সোমা আক্তার শাহজাদী একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এর ১১ দিন পর ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ দুজন নিখোঁজের পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজজামান। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকার।