- আগস্ট ২৯, ২০২২
- জাতীয়
- 197
নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।
সোমবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ ধরনের প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল, তাহলে কী সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, একই মানুষ আসবে কিনা, তাতো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইরেটিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারবো না।
অন্য নামেও হলে কী নিবন্ধন পাওযার সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, অন্য নামে হলেও তো জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে তো সেটা অন্য বিষয়।
নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট কী গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।
জামায়াতে ইসলাম সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তবে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে স্থগিত না করে আপিল আবেদন গ্রহণ করায় হাইকোর্টের রায়ে ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। আপিল বিভাগ জামায়াতের সেই আপিল খারিজ করে করে দেন ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪।